প্রথমে মাত্র তিনটি দুম্বা নিয়ে শুরু। আজ তার খামারে রয়েছে বিভিন্ন দামের, আকৃতির ও বৈশিষ্ট্যের একাধিক আরব দুম্বা। রঙ, গঠন আর স্বাস্থ্যে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।দুম্বা চাষি আবসার আলী তিনি জানিয়েছেন, ইউটিউব দেখে দুম্বা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। মালদহ জেলা থেকে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা দিয়ে তিনটে দুম্বার বাচ্চা নিয়ে আসা হয়েছিল ছয় মাসের মধ্যেই বাচ্চা দিতে শুরু করে। এখানকার ছাগলে যেসব খাবার খায় সেই খাবার খেয়েই বড় হচ্ছে । তবুও এই দুম্বাগুলোর জন্য বিশেষ খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই ছাগল বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ব্যবসার লাভ আসবে অনেক! শুধু মাথায় রাখতে হবে এই ছোট ছোট বিষয়গুলি
এটাও জানা গিয়েছে, বিশেষ করে কোরবানির মৌসুমে দুম্বার চাহিদা থাকায়, বাজারে এর দামও বেশ ভাল। ফলে লাভ আসছে নিয়মিত, আর খরচ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। এই তিন বছরে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে এই কৃষক। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরামর্শ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এই উদ্যোক্তা। স্থানীয় অনেক তরুণ এখন আগ্রহী হচ্ছেন এই নতুন সম্ভাবনার খাতে।
আরব দেশের এই বহুমূল্য দুম্বা পালনের মাধ্যমে শুধু নিজের ভাগ্যই পাল্টে ফেলেননি তিনি। সঙ্গে তৈরি করেছেন অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শাহজাদপুরের হরিহরপাড়া আজ নতুন পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে ‘দুঁম্বা খামারের গ্রাম’ হিসেবে।
কৌশিক অধিকারী





