এই পথচলার রূপকার। ২০০০ সালে যাদবপুরের এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শিখেছিলেন পুতুল তৈরির কাজ। আর ফিরে এসে, নিজের গ্রামের পাড়ার অন্য গৃহবধূদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরও শেখালেন কীভাবে অবসর সময়কে রূপ দেওয়া যায় কর্মযজ্ঞে। তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে ছোটদের প্রিয় কমিক চরিত্র ছোটা ভিম, ছুটকি, সোনালী, ও আরও অনেক।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসতে চলেছে যোজনার টাকা, কারা পাবেন না ২০তম কিস্তির টাকা ? জেনে নিন
advertisement
এই সব পুতুল বানানো হয় বাড়ির ছোট্ট ঘরে বসেই, কিন্তু চাহিদা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। কামরাবাদ থেকে তৈরি পুতুল পৌঁছাচ্ছে বড়বাজার হয়ে রাজ্যের নানা প্রান্তে। উৎপাদন আর উপার্জনের এই সরল সমীকরণে হাসি ফুটেছে শুক্লা মন্ডল, টগরি, রাখী, প্রতিমা সহ আরও অনেক মুখে। আজ তারা নিজের উপার্জনে আত্মবিশ্বাসী,নিজেদের মতো করে গড়ে তুলছেন নতুন ভবিষ্যৎ।
সংসার সামলে সময় পেলেই হাতে নিচ্ছেন তুলো, সুতো, কাপড়। আর সেই হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পাচ্ছে পুতুল, যা একদিকে যেমন খুশি দিচ্ছে শিশুদের, অন্যদিকে এনে দিচ্ছে আয়ের এক নতুন দিশা। এ গল্প শুধুই পুতুল তৈরির নয়, এ গল্প আত্মনির্ভর হওয়ার, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার। এ গল্প দেখিয়ে দেয় যেখানে ইচ্ছা, সেখানেই পথ। এই উদ্যোগ আরও অনেক গ্রামের অনুপ্রেরণা। যেখানে ঘরের মেয়েরা কেবল সংসার নয়, নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দিশাও দেখাচ্ছেন তারা।
সুমন সাহা





