Women Income: জিভে জল আনা ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন মহিলারা, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন হেসেখেলে

Last Updated:
স্বল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করেই সফল গ্রামের মহিলারা, মাসিক আয় জানেন?
1/7
দুর্গাপুর: গ্রাম্য সমাজের পরনিন্দা পরচর্চাকে উপেক্ষা করেই সংসারের হাল ধরতে গৃহিণীরা নিজের হাতে তৈরি এই লোভনীয় খাবার বিক্রি করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন। পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের সেই কাজে নিযুক্ত করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন। দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকে ও বুদবুদ থানা এলাকায় এমনই একধিক গৃহবধূ থেকে গৃহিণীর দেখা মেলে।যাঁরা গ্রাম্য ব্যঙ্গ বিদ্রুপকে পরোয়া না করে রাস্তার ধারে ঠেলা গাড়ি ও ভ্যানে করে মুখরোচক ফুচকা বিক্রি করে আসছেন বহুবছর ধরে। (দীপিকা সরকার)
দুর্গাপুর: গ্রাম্য সমাজের পরনিন্দা পরচর্চাকে উপেক্ষা করেই সংসারের হাল ধরতে গৃহিণীরা নিজের হাতে তৈরি এই লোভনীয় খাবার বিক্রি করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন। পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের সেই কাজে নিযুক্ত করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন। দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকে ও বুদবুদ থানা এলাকায় এমনই একধিক গৃহবধূ থেকে গৃহিণীর দেখা মেলে।যাঁরা গ্রাম্য ব্যঙ্গ বিদ্রুপকে পরোয়া না করে রাস্তার ধারে ঠেলা গাড়ি ও ভ্যানে করে মুখরোচক ফুচকা বিক্রি করে আসছেন বহুবছর ধরে। (দীপিকা সরকার)
advertisement
2/7
গ্রামে বসে ফুচকা বিক্রি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তাঁরা। অভাবের সংসারের হাল ফেরাতে তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার কাহিনি বহু মহিলাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
গ্রামে বসে ফুচকা বিক্রি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তাঁরা। অভাবের সংসারের হাল ফেরাতে তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার কাহিনি বহু মহিলাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
advertisement
3/7
প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যের অবাঙালিদের মুখরোচক ফুচকা  বাংলাতেও বহুবছর আগেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে ভিন রাজ্যের অবাঙালিরা এই রাজ্যে এসে প্রথম ফুচকা বিক্রি শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যের অবাঙালিদের মুখরোচক ফুচকা  বাংলাতেও বহুবছর আগেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে ভিন রাজ্যের অবাঙালিরা এই রাজ্যে এসে প্রথম ফুচকা বিক্রি শুরু করেন।
advertisement
4/7
বাঙালিদের ওই সুস্বাদু ফুচকা খাইয়ে দ্রুত মন জয় করে নেন ওই ফুচকা বিক্রেতারা।চাহিদা  বাড়তে থাকায় শহর অঞ্চল গুলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠে একের পর এক ফুচকার দোকান।
বাঙালিদের ওই সুস্বাদু ফুচকা খাইয়ে দ্রুত মন জয় করে নেন ওই ফুচকা বিক্রেতারা।চাহিদা  বাড়তে থাকায় শহর অঞ্চল গুলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠে একের পর এক ফুচকার দোকান।
advertisement
5/7
তবে গ্রামাঞ্চলে সেই ভাবে ফুচকা মিলতো না একটা সময়। ফুচকা ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় বহু বাঙালি ফুচকা ব্যবসা শুরু করেন। বাঙালি পুরুষদের পাশাপাশি শহরাঞ্চলে মহিলারাও ফুচকার ব্যবসা শুরু করেন। তবে গ্রামে এই দৃশ্য বিরল বললেই চলে। গ্রামে এখনও একরকম  গ্রাম্য রীতিনীতি ও নিজস্ব আইনকানুন চলে।
তবে গ্রামাঞ্চলে সেই ভাবে ফুচকা মিলতো না একটা সময়। ফুচকা ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় বহু বাঙালি ফুচকা ব্যবসা শুরু করেন। বাঙালি পুরুষদের পাশাপাশি শহরাঞ্চলে মহিলারাও ফুচকার ব্যবসা শুরু করেন। তবে গ্রামে এই দৃশ্য বিরল বললেই চলে। গ্রামে এখনও একরকম  গ্রাম্য রীতিনীতি ও নিজস্ব আইনকানুন চলে।
advertisement
6/7
শহুরে মহিলাদের থেকে গ্রামের মহিলাদের স্বাধীনতা অনেকটাই কমে যায়।তবে কাঁকসা থানার আমলাজোড়া এলাকায় বেশ কিছু সাহসী গৃহিণী কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিজের সংসার বাঁচাতে রাস্তায় ফুচকা ব্যবসা শুরু করেন।বছর ৪০ এর এক ফুচকা বিক্রেতা সোনালী গড়াই জানান, আর্থিক অনটনের সংসার বাঁচাতে তিনি প্রায় ৭ বছর আগে ফুচকা তৈরি করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি শুরু করেন। মাত্র এক হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামেন। বর্তমানে তিনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করেন। পাশাপাশি তিনি ফুচকা তৈরির জন্য এলাকার দু'জন গৃহবধূকে কাজে রেখেছেন। তাঁদেরও মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা আয় হয়।
শহুরে মহিলাদের থেকে গ্রামের মহিলাদের স্বাধীনতা অনেকটাই কমে যায়।তবে কাঁকসা থানার আমলাজোড়া এলাকায় বেশ কিছু সাহসী গৃহিণী কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিজের সংসার বাঁচাতে রাস্তায় ফুচকা ব্যবসা শুরু করেন।বছর ৪০ এর এক ফুচকা বিক্রেতা সোনালী গড়াই জানান, আর্থিক অনটনের সংসার বাঁচাতে তিনি প্রায় ৭ বছর আগে ফুচকা তৈরি করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি শুরু করেন। মাত্র এক হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামেন। বর্তমানে তিনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করেন। পাশাপাশি তিনি ফুচকা তৈরির জন্য এলাকার দু'জন গৃহবধূকে কাজে রেখেছেন। তাঁদেরও মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা আয় হয়।
advertisement
7/7
অন্যদিকে বুদবুদ থানার চাকতেঁতুল এলাকায় একাধিক মহিলা ফুচকা ব্যবসা করেন। তাঁর মধ্যে রমা দাস বৈরাগ্য জানান, তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি করছেন। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণীত হয়ে তাঁর স্বামী রাজু দাস বৈরাগ্য ১০ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকার অন্য মহিলারও ফুচকা বিক্রি শুরু করেছেন। তবে বর্তমানে তাঁদের সাফল্যলাভ এসেছে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে বলে দাবি ওই সকল গৃহিণীদের।
অন্যদিকে বুদবুদ থানার চাকতেঁতুল এলাকায় একাধিক মহিলা ফুচকা ব্যবসা করেন। তাঁর মধ্যে রমা দাস বৈরাগ্য জানান, তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি করছেন। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণীত হয়ে তাঁর স্বামী রাজু দাস বৈরাগ্য ১০ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকার অন্য মহিলারও ফুচকা বিক্রি শুরু করেছেন। তবে বর্তমানে তাঁদের সাফল্যলাভ এসেছে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে বলে দাবি ওই সকল গৃহিণীদের।
advertisement
advertisement
advertisement