আরও পড়ুনঃ বইপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান, ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বইমেলা
গ্রামের কয়েকটি পরিবার এখন এলাকার বিভিন্ন বাজার থেকে মাছের আঁশ ও মাছের পাখনা সংগ্রহ করেন। বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় এনে সেগুলো ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বস্তাবন্দী করেন। এরপর স্থানীয় ফড়েরা এসে সেই আঁশ ও পাখনা কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩২ কেজি উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। মাছের আঁশ কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, আর মাছের পাখনা বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ টাকা দরে।স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আগে ভেবে দেখিনি এই আঁশেরও দাম হতে পারে। এখন বাড়িতেই কাজ করছি, সংসারও ভাল চলছে।”
advertisement
কিন্তু কী কাজে লাগে এই আঁশ আর পাখনা? কো বা যায়? জানা গেছে, এসব পণ্য শিলিগুড়ি ও কলকাতা ঘুরে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে রফতানি হয়। সেখানে মাছের আঁশের প্রচণ্ড চাহিদা রয়েছে, কারণ এই আঁশ থেকেই তৈরি হয় নানা ধরনের কসমেটিকস সামগ্রী যেমন নেইল পলিশ, ফেসপ্যাক ও বিভিন্ন ত্বকচর্চার ক্রিম।
বারঘরিয়ার এই উদ্যোগ এখন ধীরে ধীরে অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। যা একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতির নতুন ভরসা হয়ে উঠছে। বলাই বাহুল্য, সামান্য উদ্যোগ আর সৃজনশীল চিন্তাভাবনা থাকলে গ্রামবাংলার মাটিতেই তৈরি হতে পারে নতুন রোজগারের দিগন্ত!





