আরও পড়ুনঃ ১মাসে কমবে ৫কেজি! গলে যাবে জেদি মেদ! প্রতিদিন খান এই ‘স্যালাড’, তফাৎ হাতেনেতে
তবে, বোলপুর শান্তিনিকেতন তো অনেকবার গেছেন কোনওদিন ঘুরে দেখেছেন তিনপাহাড়! এই তিনপাহাড়-এর নাম প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে একদম নতুন। তবে কী এই তিনপাহাড়, কী এই পাহাড়ের আসল কাহিনি? বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশন থেকে নেমে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন এই পাহাড়ে! এই তিনপাহাড় বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে এক ঐতিহ্যবাহী জায়গা। তিনপাহাড় অর্থাৎ তিনটি নুড়ির ধাপ দিয়ে করা রয়েছে একটি পাহাড়। যার মধ্যে অবস্থিত রয়েছে একটি প্রাচীন বটগাছ। এই গাছটি রোপন করেছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা। প্রথম যখন তিনি শান্তিনিকেতন আসেন তখন তিনি এই গাছটি রোপন করেন। এই গাছটি যখন বড় হয় তখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনটি নুরি দিয়ে গাছটিকে সুন্দর ভাবে বাধিয়ে তোলেন। এবং এই গাছের তলেই বসে বহু কবিতা লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!
advertisement
তবে এই সমস্ত ধারণা একদমই ভুল এমনটাই জানাচ্ছেন বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে বোলপুর শান্তিনিকেতনের পথপ্রদর্শকরা। বিশ্বভারতীর পথপ্রদর্শক সজল বিশ্বাস জানান, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা যখন বাড়ি তৈরি করেন যার নাম শান্তিনিকেতন, তখন তিনি এখানে একটি পুকুর খনন করেন বর্তমানে যেখানে তিনপাহাড় অবস্থিত সেখানে পুকুর ছিল যার নাম ছিল তালপুকুর। জলাশয় শেষ করে পুরোটাই মাটি ভরতি করে দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা, তারপরে এখানে একটি বট গাছ স্থাপন করা হয় এবং যেটির নাম তিনপাহাড়। সহজ পাঠের মলাটের উপর এই বট গাছের ছবি পাওয়া যায় তবে এখানে বসে বিশ্বকবি কোনও কবিতা লেখেননি, অনেক পর্যটকরা বোলপুর এসে এখানে ভুল তথ্য নিয়ে বাড়ি ফেরেন তবে সেটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।”
তিনি আমাদের আরও জানান ‘কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি ‘ যে কবিতাটি রয়েছে সেটি কিন্তু এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের বট গাছের তলায় লেখা নয়, এটি বাংলাদেশে লেখা কবিতা। তবে সব মিলিয়ে এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন এলে অবশ্যই সঠিক তথ্য নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
সৌভিক রায়