জেলা কৃষি দফতর থেকে জানা যাচ্ছে, এই বছর জেলায় ৬১ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির। এমন পরিস্থিতিতে চাষিরা মাঠে বীজতলা তৈরি করলেও আগামী দিনে বৃষ্টি না হলে সেই বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে বর্তমানে এমন অবস্থা যে জলাধার থেকে সেচের ব্যবস্থা করা হবে তারও কোনো উপায় নেই। এমত অবস্থায় দুবরাজপুরের এই গ্রামের চাষীরা আগামীদিনে বৃষ্টির আশায় এখন জল ট্যাঙ্ক এনে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ বীজতলা বাঁচলে বৃষ্টি হলেই ফসল হবে বলে আশা করছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন - ‘পরীক্ষা দেব না’ দাবিতে বিক্ষোভ নয়, পরীক্ষা দিতে চেয়ে পাঁচিল টপকালেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা
আরও পড়ুন - ভুবন বাদ্যকরের মুকুটে নয়া পালক! জুটল ইউটিউব সিলভার বটন
এছাড়াও চাষীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। কিন্তু এই বছর যা পরিস্থিতি তাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সবকিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই তারা জল ট্যাঙ্কের মাধ্যমে বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল সংগ্রহ করে মাঠে দিচ্ছেন বীজতলায়। পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে সংসার চালানোর ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ! কী করবেন এই মুহূর্তে ভেবে কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারিভাবে সাহায্যের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক চাষীদের করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেচের যাতে ব্যবস্থা হয় তার বন্দোবস্ত করা হবে।
Madhab Das