পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর আশ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেন যাতে সেই রাস্তা ফেরত না দেওয়া হয়। যদিও এখনও সেই চিঠির কোনও উত্তর আসেনি’, জানালেন উপাচার্য। এবার তিনি টোটো চালকদের হাত জোড় করে এই রাস্তায় যাত্রী নামানো এবং ওঠানো না করার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি! সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ বীরভূমের একই পরিবারের আট জন
advertisement
উল্লেখ্য ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সকলেই৷ তারপরেই উপাসনা গৃহের সামনে থেকে কালিসায়র পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও উপাচার্য জানান, দুটি চিঠি দিয়ে আবেদন করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, এই রাস্তাটির দুই দিকে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য। তাই এই রাস্তাটি তৎকালীন উপাচার্য স্বপন দত্তের সময় বিশ্বভারতীকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা সফরে এসে ফের রাস্তা ফিরিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী।রবীন্দ্রনাথ ভবন সংগ্রহ শালার কাছে এই রাস্তার উপর টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য জোড়হাত করে আবেদন করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এটি বিশ্ব ঐতিহ্য। এই তকমা, গরিমা আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এই রাস্তায় যত্রতত্র টোটো চললে ভাল দেখায় না৷ এমনকি, রাস্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও করেছি ৷ সকলের কাছে অনুরোধ, কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।” তবে টোটো চালকদের দাবি, তাদের ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে দেওয়া হোক। তাঁরা ওই রাস্তায় কোনওযাত্রী তুলবেন না বলেও জানান।
সৌভিক রায়