বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ক্যাম্পাসের গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বসন্ত উৎসব নয়, হবে বসন্ত বন্দনা। ওই দিনই সন্ধ্যায় নৃত্যনাট্য অনুষ্ঠিত হবে। বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শুধুমাত্র পড়য়া, কর্মী, অধ্যাপক-কর্মীদের মধ্যেই সীমিত পরিসরে হবে বসন্ত বন্দনা। তবে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা ,পর্যটক, বহিরাগতদের প্রবেশধিকার থাকবেনা। আর কর্তৃপক্ষের এই আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : পর পর ৪ বছর বন্ধ বসন্ত উৎসব! বিশ্বভারতীর বদলে তাই সেজে উঠল সোনাঝুরি
এ বছর বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনার আয়োজন নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে সর্বত্র। বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা দেশ-বিদেশের পর্যটক সহ-রাজ্যের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। অথচ ২০১৯ সালের পর বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হবার পরেও পরিবর্তন হয়নি কোনও কিছুরই। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘সদ্য ইউনিসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পর আশ্রম চত্বরে কোনওভাবেই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে বসন্তোৎসব একেবারেই সম্ভব নয়। তাই ভিড় আটকাতে বসন্ত বন্দনার আয়োজন।
” width=”300″ height=”150″>
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রবীণ আশ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পড়ুয়া ও প্রাক্তনী ঘরোয়া বসন্ত বন্দনার অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করেছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বসন্ত বন্দনা হবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে, তবে গোপনীয়তা বজায় রেখে এখনও সূচী প্রকাশ করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কবে প্রকাশ হবে সূচী এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সৌভিক রায়