দেউচা পাচামি গ্রামসভা সমন্বয় হুল কমিটির পক্ষ থেকে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কয়েকশ আদিবাসীকে নিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি তোলা হয়, দেউচা পাচামির কয়লা শিল্প বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল শেষে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দাবি দাওয়া লিখিতভাবে জেলাশাসককে জানানো হয়। পরে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আদিবাসী নেতারা জানান, জেলাশাসক আশ্বাস দিয়েছেন দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য কোনও আদিবাসীর কাছ থেকে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। পাশাপাশি তাঁদের অন্যান্য দাবি দাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
advertisement
তবে শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। এই মিছিলে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ কিছু আদিবাসীকে দেখা গিয়েছে যারা দেউচা পাচামির বাসিন্দা নন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হলে বিষয়টি স্বীকারও করে নেন। বলেন, দেউচা পাচামিতে তাদের কোনও জমি নেই। এই বিক্ষোভ আসতে বলা হয়েছিল, তাই তাঁরা এসেছিলেন। এমনকি অনেকে জানেন না যে কী কারণে এই মিছিল!
যদিও দেউচা পাচামি গ্রামসভা সমন্বয় হুল কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মাঝি পরগনার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য হাতেগোনা কয়েকজন বাইরে থেকে এসেছেন। বাকি সবাই গ্রামবাসী। আদিবাসী নেতারা অভিযোগ করেন, যারা শিল্পের পক্ষে কথা বলছেন তারাই এই ধরনের অপপ্রচার করে আন্দোলনকে প্রশমিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মাধব দাস