চিঠিতে পুর আইনের একাধিক ধারা উল্লেখ করে বীরভূমের সদর মহকুমাশাসক অনিন্দ্য সরকার জানিয়েছেন, পদত্যাগ পত্র জমা দিতে হবে বোর্ড অফ কাউন্সিলরর্সের কাছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরপ্রধানকে। সদর মহাকুমাশাসক অনিন্দ্য সরকার পরে ওই চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, আমি পুরপ্রধানকে জানিয়েছি আমার কাছে নয়, নিয়ম মেনে বোর্ড অফ কাউন্সিলরর্সের কাছেই তাঁকে নিজের পদত্যাগ পত্র পেশ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের নন্দীগ্রাম থানার আইসি বদল, পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে এই নিয়ে তিনজন
মহকুমাশাসকের চিঠি থেকে পরিষ্কার, প্রণব কর যতক্ষণ না বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠাচ্ছেন ততক্ষণ সিউড়ির পুরপ্রধান হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করা হবে। এমনকি যে বোর্ড অফ কাউন্সিলরর্সের বৈঠকে এই পদত্যাগ পত্র পেশ হবে সেই বৈঠকও তাঁকেই ডাকতে হবে। এই বিষয়ে সিউড়ির উপ পুরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাউ বলেন, ‘আমরা আইন ঘেঁটে যেটুকু দেখলাম, তাতে এই প্রণব করকেই বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠক ডাকতে হবে। সেই বৈঠকেই তিনি পদত্যাগ পত্র পেশ করবেন এবং সেখানেই তা গৃহীত হবে, এটাই আইন। আমরা পুরসভার তরফ থেকে গোটা বিষয়টি প্রণব করকে জানিয়েছি। তিনি দ্রুত বৈঠক ডাকবেন বলেও জানিয়েছেন।’
এদিকে সোমবার অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ প্রণব কর সিউড়ির পুরপ্রধান এবং কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর আর পুরসভায় আসেননি। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সদর মহকুমাশাসকের চিঠি পেয়েছি। পুর আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ জেনে নিয়ে সেই মতো কাজ করব। আইনের বাইরে কোনও কাজ হবে না। পুরসভার একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের সোমবার বা মঙ্গলবার বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বইঠক ডেকে পদত্যাগ করতে পারেন প্রণব কর। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ হয় কিনা।
শুভদীপ পাল