আরও পড়ুন Hooghly News: অতিরিক্ত কাজের চাপ দিচ্ছে বস, সোজা কাটারির কোপ ব্যাঙ্ক কর্মীর!
এদিন ৫১ জন কুমারীকে পুজোর জন্য ভোর থেকে নাম লেখা শুরু হয়। এই কুমারী পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারে পাঁচ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কুমারীরা। বেছে নেওয়া কুমারীদের প্রথমে কোপাই নদীতে স্নান করানো হয় এবং তারপর ঘট পুজো ও ওই কুমারীদের লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে পঞ্চবটি বটবৃক্ষের তলায় আনা হয়। এর পরেই শুরু হয় কুমারী পুজো। আবার এই ৫১ জন কুমারীর মধ্যে থেকে একজন কুমারীকে রাজকুমারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
advertisement
কঙ্কালীতলায় মায়ের স্বপ্নাদেশের শুরু হওয়া এই ৫১ কুমারী পুজোর মূল লক্ষ্য হল জগতের মঙ্গল কামনা। কঙ্কালীতলা হল সতীপীঠের শেষ সতীপীঠ। যে কারণে এই কঙ্কালীতলায় দুর্গাপুজোর পর ত্রয়োদশীর দিন ৫১ সতীপীঠকে স্মরণ করে প্রতিটি সতীপীঠের মায়ের নাম ধরে পুজো কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। সমস্ত খণ্ডকে একত্রিত করে মায়ের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পুজো, পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া সেই মায়ের সংকল্প করা এবং আরাধনা করা।
কঙ্কালীতলায় এই ৫১ কুমারী পুজোর রীতি অনুসারে এক একজন কুমারীকে তিন বছর অর্থাৎ তিন বার পুজো করা হয়ে থাকে। তবে কোনও কুমারীর ১২ বছর বয়স পার হলে আর তাকে পুজো করা হয় না। প্রতিবছর এই কুমারী পুজোকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি এদিন মেলা এবং ভক্তদের ভোগের আয়োজন করা হয়েছে। করোনাকালে গত দুবছর ধরে মেলা এবং ভক্তদের ভোগ বিতরণ করার ক্ষেত্রে একাধিক বিধি নিষেধ থাকলেও এই বছর বিধি নিষেধহীন ভাবেই এই পুজোর আয়োজন হয়।
Madhab Das