গ্রীষ্মকালে এমনিতেই রক্তের আকাল দেখা দেয়। কারণ গরমে রক্তদান শিবির অনেক কম আয়োজিত হয়। তাছাড়া করোনার পর থেকেই রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমেছে। তার উপর সদ্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় মাঝে এক মাস সেভাবে রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়নি জেলার কোথাও। সেই কারণেই বীরভূমের এই প্রধান সরকারি হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট এত তীব্র হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সাগরপাড়া থেকে আবার অস্ত্র উদ্ধার, পঞ্চায়েতের আগে চিন্তা বাড়ছে পুলিশের
চিকিৎসকদের মতে, দ্রুত বেশ কয়েকটি রক্তদান শিবির আয়োজন করা দরকার। না হলে পরিস্থিতি যেকোনও সময় হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সিউড়ি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গ্রুপ মিলিয়ে এই হাসপাতালে দৈনিক রক্তের চাহিদা গড়ে ৪০-৫০ ইউনিট। ফলে স্টকে যা রক্ত আছে তা দিয়ে একটা গোটা দিনও চলবে না। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় আমাদের প্রতিনিধি সিউড়ি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেখানে মজুত রক্তের পরিমাণ মাত্র ১৭ ইউনিট!
এর মধ্যে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত আছে মাত্র ২ ইউনিট। এ পজিটিভ ১ ইউনিট, এ নেগেটিভ ১ ইউনিট, বি পজেটিভ ১ ইউনিট, বি নেগেটিভ ১ ইউনিট, ও পজেটিভ ১০ ইউনিট, ও নেগেটিভ নেই, এবি পজেটিভ ৩ ইউনিট, এবি নেগেটিভ নেই। এই হল সিউড়ি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের স্টকের খতিয়ান। এই রক্ত সঙ্কটের কথা জানতে পেরে আতঙ্কে ভুগছেন রোগীরাও।
শুভদীপ পাল