TRENDING:

পুরসভায় রেলের বকেয়া! করের পরিমাণ শুনলে চমকে ‌যাবেন

Last Updated:

১৯৯৫ সালের শেষবারের মতো কর দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে, তারপর থেকে এখনও কর বকেয়া রয়েছে রেলের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: জল সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিছন্নতা স্ট্রিট লাইট রামপুরহাট পৌরসভার তরফ থেকে পরিষেবার কোন খামতি নেই। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক জায়গায় পরিষেবা কর বাবদ কোন টাকা দিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ। রামপুরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি ১৯৯৫ সালে শেষবার কর জমা দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।তারপর এখন অবদি কেটে গেছে ২৯ টি বছর কর বাবদ একটি টাকাও জামা পড়েনি। ফলে সেই বকেয়া টাকা জমতে জমতে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
advertisement

এছাড়াও বেশ কয়েক বছর ধরে শহরের প্রধান যে ডাকঘর রয়েছে সেই ডাকঘর থেকেও মিলছে না পৌরসভার কর তাই বকেয়া করের দাবিতে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন: আপনার সন্তানের জন্য নতুন পলিসি নিয়ে এল LIC, বিমার সঙ্গে মিলবে মোটা রিটার্নও

এই বিষয়ে রামপুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত আমাদের জানান অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও শহরের উন্নয়নের কাজে প্রয়োজন রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকার কিন্তু রেল এবং ডাক বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দেওয়ার পরেও বকেয়া টাকা মেটানো হচ্ছে না। রামপুরহাট শহরের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে রেলের জায়গা।

advertisement

View More

পৌরসভার ১,৪,১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেলের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কোয়াটার রাস্তাঘাট এবং নর্দমা। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব কোয়াটার গুলিতে জল সরবরাহ করলেও রাস্তায় কোন জলের পয়েন্ট নেই। এমনকি প্লাটফর্মের বাইরেও যাত্রীদের সুবিধার্থে কোন জলের ব্যবস্থা করা নেই। এর ফলে পৌরসভার জল পান করেন হাজার হাজার যাত্রী।

advertisement

আরও পড়ুন: মাত্র ৩ লাখ টাকা থেকেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়; এভাবে করুন বিনিয়োগ

তেমনি দূর দুরন্ত থেকে আগত যাত্রীদের ফেলে যাওয়া খাবারের প্যাকেট জলের বোতল নোংরা আবর্জনায় নিকাশী নালা বুজে যায়। সেইগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় পৌরসভাকে। এর পাশাপাশি রয়েছে, স্ট্রীট লাইট। রামপুরহাট পৌরসভা রাস্তা ব্যবহার করেই যাত্রীরা রামপুরহাট স্টেশন যাতায়াত করেন কিন্তু প্ল্যাটফর্মের বাইরে নেই কোন শৌচাগার। শহরের বাইরের অবস্থিত শৌচাগার গুলি ব্যবহার করে থাকেন রেল যাত্রীরা। এই সবকিছুর জন্য তিন মাস অন্তর ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কর দেওয়ার কথা রেলের। তবে বিগত ২৯ বছর ধরে সেই কর দিচ্ছে না রেল।আর সেই কর আজ জমতে জমতে দাঁড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

advertisement

এইদিকে শহরের প্রধান ডাকঘরের তরফে জমা দেওয়া হচ্ছে না কর।পৌরসভার দাবি তিন মাস অন্তর ডাকঘরের তরফে পৌরসভার পরিষেবার কর বাবদ ২৬ হাজার ১০০ টাকা করে জমা দেওয়ার কথা।কিন্তু দীর্ঘদিন না দেওয়ার ফলে সে কর বকেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৩৬ টাকা। পৌরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য আমরা সারাবছর রেল এবং ডাকঘরের সমস্ত রকম পরিষেবা দিয়ে থাকি।তবুও এত পরিষেবা পরেও তারা সেই ভাবে কর না দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়ে রয়েছি আমরা।

advertisement

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/বীরভূম/
পুরসভায় রেলের বকেয়া! করের পরিমাণ শুনলে চমকে ‌যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল