GK News: বোলপুর শান্তিনিকেতন তো অনেকবার এসেছেন, জানেন কী এই জায়গার আগের নাম কী ছিল! কেন বদলে গেল? ৯৯ শতাংশ মানুষই উত্তর জানেন না

Last Updated:
General Knowledge: হাতে এক দু'দিনের ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ছুটে আসেন বোলপুর শান্তিনিকেতন ভ্রমণের জন্য। আপনি কি জানেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের আগের নাম কী ছিল? আর কেনই বা আগের নাম পরিবর্তন করা হয়?
1/6
হাতে এক দু'দিনের ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ছুটে আসেন বোলপুর শান্তিনিকেতন ভ্রমণের জন্য। বোলপুর শান্তিনিকেতন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের শহর। একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত কবিগুরু কাটিয়েছেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে এসে। রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত একাধিক দর্শনীয় জায়গা। আর সেই কারণে অথবা অকারণে মন চাইলেই পর্যটকেরা কিছুটা সময় কাটানোর জন্য ছুটে আসেন লালমাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনে। (তথ্য-সৌভিক রায়)
হাতে এক দু'দিনের ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ছুটে আসেন বোলপুর শান্তিনিকেতন ভ্রমণের জন্য। বোলপুর শান্তিনিকেতন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের শহর। একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত কবিগুরু কাটিয়েছেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে এসে। রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত একাধিক দর্শনীয় জায়গা। আর সেই কারণে অথবা অকারণে মন চাইলেই পর্যটকেরা কিছুটা সময় কাটানোর জন্য ছুটে আসেন লালমাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনে। (তথ্য-সৌভিক রায়)
advertisement
2/6
তবে আপনি কি জানেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের আগের নাম কী ছিল? আর কেনই বা আগের নাম পরিবর্তন করা হয়? ব্রিটিশ আমলের আগে এবং প্রথম দিকে এই অঞ্চলটি স্থানীয়ভাবে 'ভুবনডাঙা' নামে পরিচিত ছিল এই বোলপুর শান্তিনিকেতন।
তবে আপনি কি জানেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের আগের নাম কী ছিল? আর কেনই বা আগের নাম পরিবর্তন করা হয়? ব্রিটিশ আমলের আগে এবং প্রথম দিকে এই অঞ্চলটি স্থানীয়ভাবে 'ভুবনডাঙা' নামে পরিচিত ছিল এই বোলপুর শান্তিনিকেতন।
advertisement
3/6
এই নামের অর্থ হলও 'ভুবনের ডাঙা' বা উঁচু জমি যেখানে বন্যার জল ওঠে না। অজয় নদের কাছাকাছি হলেও এই অংশটি তুলনামূলক উঁচু ছিল, তাই এই নাম।
এই নামের অর্থ হলও 'ভুবনের ডাঙা' বা উঁচু জমি যেখানে বন্যার জল ওঠে না। অজয় নদের কাছাকাছি হলেও এই অংশটি তুলনামূলক উঁচু ছিল, তাই এই নাম।
advertisement
4/6
তবে পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে রেললাইন বসায় এবং স্টেশন তৈরি করে, তখন স্টেশনের নাম রাখা হয় বোলপুর। তখনও বোলপুর স্টেশনের নামের পাশে শান্তিনিকেতন লেখা হতো না।
তবে পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে রেললাইন বসায় এবং স্টেশন তৈরি করে, তখন স্টেশনের নাম রাখা হয় বোলপুর। তখনও বোলপুর স্টেশনের নামের পাশে শান্তিনিকেতন লেখা হতো না।
advertisement
5/6
তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকদিন পর্যন্ত পুরো এলাকাকেই ভুবনডাঙা বলতেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথের সময়েও (১৯০১-এ শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার আগে) অনেক চিঠি ও সরকারি কাগজপত্রে এই জায়গার উল্লেখ আছে 'ভুবনডাঙা' নামে। পরবর্তীকালে রেলস্টেশনের নাম 'বোলপুর' নামটিই ধীরে ধীরে পুরো শহর ও আশেপাশের এলাকার পরিচয় হয়ে ওঠে এবং ভুবনডাঙা নামটি প্রায় হারিয়ে যায়।
তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকদিন পর্যন্ত পুরো এলাকাকেই ভুবনডাঙা বলতেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথের সময়েও (১৯০১-এ শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার আগে) অনেক চিঠি ও সরকারি কাগজপত্রে এই জায়গার উল্লেখ আছে 'ভুবনডাঙা' নামে। পরবর্তীকালে রেলস্টেশনের নাম 'বোলপুর' নামটিই ধীরে ধীরে পুরো শহর ও আশেপাশের এলাকার পরিচয় হয়ে ওঠে এবং ভুবনডাঙা নামটি প্রায় হারিয়ে যায়।
advertisement
6/6
তবে বর্তমানে এখনও বোলপুর শান্তিনিকেতনের বর্তমানে যেখানে সোনাঝুরির হাট রয়েছে সেই হাট থেকে মাত্র কিছু দূরে ভুবনডাঙা বলে একটি গ্রাম রয়েছে। পুরনো নথিপত্র ঘাটলে জানা যায় ১৯৪০-৫০ এর দিকেও বয়স্ক মানুষেরা এই জায়গাকে 'ভুবনডাঙা' বলতেন। ১৮৭০-এর দিকের বীরভূম জেলার গেজেটিয়ারে এখানে এই জায়গার উল্লেখ আছে। (তথ্য-সৌভিক রায়)
তবে বর্তমানে এখনও বোলপুর শান্তিনিকেতনের বর্তমানে যেখানে সোনাঝুরির হাট রয়েছে সেই হাট থেকে মাত্র কিছু দূরে ভুবনডাঙা বলে একটি গ্রাম রয়েছে। পুরনো নথিপত্র ঘাটলে জানা যায় ১৯৪০-৫০ এর দিকেও বয়স্ক মানুষেরা এই জায়গাকে 'ভুবনডাঙা' বলতেন। ১৮৭০-এর দিকের বীরভূম জেলার গেজেটিয়ারে এখানে এই জায়গার উল্লেখ আছে। (তথ্য-সৌভিক রায়)
advertisement
advertisement
advertisement