শুধু গানের সঙ্গে সম্পর্ক নয়, মেদিনীপুরের সঙ্গে রয়েছে আত্মীয়তার সম্পর্ক। শচীন দেব বর্মনের খুড়তুতো বোনের বিয়ে হয় মেদিনীপুরে, মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে অভিজাত পরিবারে। জানেন সেই ইতিহাস? তাই মেদিনীপুরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এস.ডি বর্মন এবং তার পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ হয় বাংলার মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের এক রাজ পরিবারের। রাজ পরিবারের রাজপুত্রের সঙ্গে বিবাহ হয় এস.ডি বর্মনের বোনের। সেই হিসেবেই মেদিনীপুরের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে জুড়ে যান বিশ্ব বিখ্যাত এই কিংবদন্তি। যা অত্যন্ত গর্বের এবং গৌরবের।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় মনোহরপুরে থাকা জমিদার পরিবারের সুপুত্র ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় বীরবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ত্রিপুরার রাজবংশের কন্যা লতিকার। এই লতিকা ছিলেন ত্রিপুরার রাজা কৃষ্ণকিশোর মানিক্য দেব বর্মন বাহাদুরের উত্তরসূরী। অন্যদিকে এস.ডি বর্মন, আর.ডি বর্মন ছিলেন রাজা কৃষ্ণ কিশোর এর বংশধর।
স্বাভাবিকভাবে, শচীন দেব বর্মনের বোনের বিয়ে হয়, প্রত্যন্ত গ্রাম দাঁতনে। সুদূর ত্রিপুরার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয় মেদিনীপুরের। জুড়ে যায় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর সঙ্গে গ্রামের সম্পর্ক। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, দাঁতনে রেল পথ স্থাপনের পর বেশ কয়েকবার হয়ত আসা-যাওয়া করেছেন শচীন দেব বর্মন। যদিও সে বিষয়ে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় না। তবে শচীন দেব বর্মনের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন তার এই খুড়তুতো বোন।
স্বাভাবিকভাবে মেদিনীপুরের সঙ্গে জুড়ে এই কিংবদন্তি। শুধু তাঁর পেশাগত ক্ষেত্রে নয়, মেদিনীপুরের সঙ্গে রয়েছে আত্মীয়তার সম্পর্ক। ভারতখ্যাত গায়িকা আশা ভোঁসলের পিসতুতো শাশুড়ির বাড়ি দাঁতনে। স্বাভাবিকভাবে এই ইতিহাসকে স্মরণ করে দাঁতনের মানুষ। বিস্মিত হন প্রত্যেকে।
রঞ্জন চন্দ





