প্রতিবছর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী ধুমধাম করে পালন করা হয়ে থাকে। এই বছরও তাঁর এই জন্মতিথিকে কেন্দ্র করে রীতি মেনে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার ভোর ৫ টায় গৌড় প্রাঙ্গণে হয় বৈতালিক। এরপর সকাল ৬ টায় রবীন্দ্রভবনে হয় কবিকণ্ঠ। সকাল ৭ টায় উপাসনাগৃহে হয় উপাসনা। এর পাশাপাশি সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে মাধবীবিতানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মোৎসব অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এছাড়াও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গৌড় প্রাঙ্গণে রয়েছে নৃত্যনাট্য।
advertisement
প্রতিবছর বিশ্বভারতীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে ঘিরে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে ২০২০ সাল থেকে এই ছবি বদলে গিয়েছিল। ২০২০ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং লকডাউন জারি হওয়ার কারণে কেবলমাত্র রীতি মেনে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। দু'বছর পর এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের নিয়ে ফের আগের ছন্দে ফিরল রবীন্দ্র জয়ন্তী।
প্রসঙ্গত, ১৯১০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবিত থাকা অবস্থায় বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শুরু হয়। পরের বছর বিশ্বকবির পঞ্চাশতম জন্মবর্ষ ঘটা করে পালিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তবে ২৫ শে বৈশাখ শান্তিনিকেতনে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থাকায়, কবি ঠিক করেছিলেন ২৫শে বৈশাখের পরিবর্তে ১লা বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হবে। তারপর থেকে তেমনই রীতি ছিল সেখানে। যদিও সুজিত বসু উপাচার্য থাকাকালীন নিয়মে বদল আনেন। ১লা বৈশাখও অনুষ্ঠান হয় ঠিকই, কিন্তু ২৫ বৈশাখই ঘটা করে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা শুরু হয়।
অন্যদিকে, দু'বছর পর স্বাভাবিক ছন্দে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রজয়ন্তী ফেরার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়ারা নিজেদের আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি। তারা জানিয়েছেন, এই দিনটিকে আগের মত ফিরে পেয়ে অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে, যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
Madhab Das