অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ছাতিমতলায় অনুষ্ঠিত হয় উপাসনা এবং রয়েছে অন্যান্য অনুষ্ঠান। রীতি মেনে প্রতি বছরের মতো এই বছরও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে পৌষ উৎসব পালন।
আরও পড়ুনঃ কলেজ ফেস্টে গান গাইছেন শান, মাত্রা ছাড়াল বিশৃঙ্খলা, হুগলিতে পদপিষ্ট ৪
শান্তিনিকেতনের পৌষ উৎসবের মূল ভিত্তি ১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর, বাংলার ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০ জন অনুগামীকে নিয়ে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের থেকে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ নেওয়া। এরপর ১২৯৮ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে মন্দিরের উল্টোদিকের মাঠে একটি ছোটো মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটিই পৌষ মেলাতে পরিণত হয়।
advertisement
তবে সেই পৌষ মেলা ২০২০ সাল থেকে পূর্বপল্লীর মাঠে আর আয়োজিত হয়নি। কখনও করোনা, কখনও আবার অন্য কোনও কারণে মেলা আয়োজিত হয়নি। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে পাঁচ বছর আয়োজিত হল না। তবে পৌষ মেলার আয়োজন না হলেও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পালন করা হয়ে আসছে পৌষ উৎসব।
আরও পড়ুনঃ আপনার সাধের মোবাইল চুরি! লেনদেন চলে কলকাতার এই জনপ্রিয় মার্কেটেই! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে অনুষ্ঠানসূচি প্রকাশ করেছে তা হল ৭ পৌষ শুক্রবার গৌর প্রাঙ্গণে ভোর সাড়ে ৫'টায় বৈতালিক। শান্তিনিকেতন গৃহে সকাল ৬'টায় সানাই। সকাল সাড়ে ৭'টায় ছাতিম তলায় উপাসনা। সন্ধ্যা ছ'টায় উদয়ণ বাড়ি ও ছাতিমতলায় হবে আলোকসজ্জা। সাড়ে ছ'টায় গৌর প্রাঙ্গণে বসবে লোকসংস্কৃতির আসর।
৮ পৌষ শনিবার শান্তিনিকেতন গৃহে সকাল ৬'টায় সানাই। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব ও নিদর্শন পত্র প্রদান রয়েছে আম্রকুঞ্জে সকাল সাড়ে আট'টায়। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে দুপুর তিন'টের সময় রয়েছে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ স্মারক বক্তৃতা। সন্ধ্যা ছ'টায় ছাতিমতলায় আলোকসজ্জা। সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টায় গৌর প্রাঙ্গণে ভানু সিংহের পদাবলী। ৯ পৌষ রবিবার শান্তিনিকেতন গৃহে সকাল ছ'টায় সানাই। সকাল আট'টায় আম্রকুঞ্জে পরলোকগত আশ্রম বন্ধুদের স্মৃতিবাসর। বৈকাল সাড়ে পাঁচ'টায় উপাসনা গৃহে খ্রিস্টোৎসব। একই সময়ে উপাসনা গৃহে হবে আলোকসজ্জা।
Madhab Das