বিশ্বভারতের বসন্ত উৎসব এক আলাদা ঐতিহ্য বহন করে। দোলের দিন তাদের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ শান্তিনিকেতনে ছুটে আসেন। সেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্যের তালে তালে আবির খেলা হয়। রীতি মেনে এখানে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় না। আবির নিয়েই বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা। এতদিন সেই অনুষ্ঠানে বোলপুরের মানুষও যোগ দিতেন। কিন্তু এবার বিশ্বভারতী বাইরের লোকজনের বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিকল্প পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে বোলপুরবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঝরাতে হানা দিয়ে বারুইপুরের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ
আর তাই বোলপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামবাটি, ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামবুনি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন কম্পাউন্ড, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশুলাপট্টি, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিপট্টিতে বিশ্বভারতীর আদলে আয়োজিত হবে বসন্ত উৎসব। ওয়ার্ডগুলির স্থানীয় বাসিন্দারা এই উৎসবের আয়োজন করবেন। দোলের সকালে ‘খোল দ্বার খোল’ গান গেয়ে শোভাযাত্রা বের হবে। তারপর ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ গানের সঙ্গে সবাই মেতে উঠবেন আবির খেলায়।
২০২০ সালে করোনার চোখ রাঙানির জন্য বন্ধ হয়েছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব। করোনার জন্য সেই প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল বসন্ত উৎসব। তারপর থেকে এই বসন্ত উৎসব নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, পড়ুয়ারা ছাড়া আর কেউ অংশ নিতে পারেন না।
সৌতিক চক্রবর্তী