এমন পরিস্থিতিতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে না পেরে বৃহস্পতিবার ময়ূরাক্ষী হেডকোয়ার্টার ডিভিশন সিউড়িতে অবস্থান বিক্ষোভ পড়েন এবং এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তারা দাবি করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেতন আটকে থাকায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। চারদিকে ধার দেনা হয়ে যাচ্ছে। পুজোর আগে এই টাকা না পাওয়া গেলে ছেলেমেয়েদের জামা কাপড় কিনে দেওয়া পর্যন্ত সম্ভব হবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর খরচ বাড়লেও নতুনত্ব আনতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা
বেতন বাকি থাকা নিয়ে এই সেচ কলোনিতে এর আগেও বিক্ষোভ এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে বেতন বন্ধ থাকায় সিউড়ির জয়দেব মাল নামে এক যুবক ২০২০ সালে পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন। এই ঘটনার পরেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভরত অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের। এদিন বিক্ষোভ দেখানোর পর তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সাত দিন অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন এবং তারপরেও যদি বেতন না পান তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক দিবসে ২০১ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনা
অন্যদিকে বেতন বাকি থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ময়ূরাক্ষী হেডকোয়ার্টার ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ দাস কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, ফান্ড না থাকার কারণেই এই সকল অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন বাকি থেকে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফান্ড না আসার কারণে তারা সংস্থাকে পেমেন্ট করতে পারেননি। সংস্থাকে পেমেন্ট করতে না পারার কারণেই হয়তো ওই সংস্থা তাদের পেমেন্ট করেনি।
Madhab Das