এই এলাকার চাষীরা এখন এলাকার যে সকল খাল বিলে সামান্য পরিমাণে জল জমেছে সেই সকল জল দিয়েই ছোলা, গম, সরিষা ইত্যাদি চাষ করতে ব্যস্ত। এখানকার যে সুরবতী নদী রয়েছে সেখান থেকে সেচ করে সেই জল ব্যবহার করে এখন চাষাবাদ করার কাজ শুরু করেছেন। তাদের আশা শীতকালীন এই ফসল ঠিকঠাক ফললে তাদের যে লোকসান হয়েছে তা তারা পূরণ করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খাগড়া জয়দেব কয়লা শিল্প নিয়ে নতুন করে টেন্ডার! আশার আলো দেখছেন গ্রামবাসীরা
তবে আশা থাকলেও এখানকার চাষীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, যেভাবে দিন দিন শাড়ির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই ভাবে তারা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। পাশাপাশি আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ফলে তারা তাদের এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সরকারি সাহায্যের দাবি জানাচ্ছেন। চাষীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে সারের দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকা কুইন্টাল। এত টাকা খরচ করে চাষ করেও কোন গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না লাভ হবে কিনা।
আরও পড়ুনঃ শাবল, গাঁইতি, বাঁশ! ১০ ঘন্টা পর ঘেরাও মুক্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
কারণ সেই ভাবে জল পাওয়া যাচ্ছে না। নদী থেকে সেচ করে যতদিন চলবে ততদিনই। এরপর তাদের আর কিছু করার থাকবে না। সারের এই বিপুল দামের কারণে তারা লাভ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও যেহেতু জমিগুলি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাই কোন উপায় না পেয়ে চাষ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
Madhab Das