Birbhum News: শাবল, গাঁইতি, বাঁশ! ১০ ঘন্টা পর ঘেরাও মুক্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে বুধবার বিকালবেলায় হঠাৎ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাকে ঘেরাও করেন। ঘেরাও করার আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এক দফা ধস্তাধস্তি হয়ে যায় পড়ুয়াদের।
#বীরভূম : উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে বুধবার বিকালবেলায় হঠাৎ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাকে ঘেরাও করেন। ঘেরাও করার আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এক দফা ধস্তাধস্তি হয়ে যায় পড়ুয়াদের। আবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ পড়ুয়ারা অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে। এসবের মধ্যেই উপাচার্যকে পড়ুয়ারা ঘেরাও করলে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা তিনি ঘেরাও থাকেন এবং শেষমেষ মুক্ত হন। শুধু মুক্ত হন বলা উচিত হবে না, কারণ তাকে মুক্ত করতে নিরাপত্তারক্ষীরা যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা রীতিমত চমকে দেওয়ার।
তাকে ঘেরাও মুক্ত করার জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা শাবল, গাঁইতি, বাঁশ নিয়ে আসেন এবং তা দিয়ে গেট ভাঙতে শুরু করেন। গেট ভাঙ্গার কাজ শুরু হতেই পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ফের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অন্যদিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বারবার তাকে বাধা দেওয়া হয় বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের তরফে। তবে পড়ুয়াদের সেই বাধা সরিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও মুক্ত করে নিয়ে যান বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের হাত থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নিরাপত্তারক্ষীদের তা দেখতে দেখতে সময় লাগে, প্রায় ১০ ঘন্টা।
advertisement
তাও আবার বোলপুর ও শান্তিনিকেতন পুলিশের সহযোগিতায়। যখন পরিস্থিতি খুবই উত্তাল হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেয় সেই সময় খবর পেয়ে বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ পৌঁছায় কেন্দ্রীয় ভবনে। তারপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তারক্ষীরা ভবনের বাইরে থেকে বাসভবনে নিয়ে যেতে সক্ষম হন তখন রাত ২টো। তবে প্রশ্ন হল কেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা এইভাবে হঠাৎ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে রাখলেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্য আদালতের নির্দেশ মেনে ভর্তি নেন না। বেছে বেছে পড়ুয়াদের পিএইচডি আটকে রাখেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ খাগড়া জয়দেব কয়লা শিল্প নিয়ে নতুন করে টেন্ডার! আশার আলো দেখছেন গ্রামবাসীরা
এমনকি এই নিয়ে তারা আলোচনা করতে এলে নিরাপত্তা রক্ষীকে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর গুলি চালাতে বলেন। তাদের আরও অভিযোগ, অভিযোগ, যে সকল পড়ুয়ারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের বেছে বেছে পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অঙ্গুলি হেলনেই নেই এমন বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন তারা বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি এই ধরনের প্রতিহিংসা মূলক পদক্ষেপ বন্ধ করে বিশ্বভারতীতে পঠন পাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধান তো হলই না! সেচ করে রবি শস্য লাভের আশায় অন্নদাতারা
প্রসঙ্গত, চার বছর ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে রয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই চার বছরে তিনি যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সকল সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের একাংশের তরফ থেকে বিরোধিতা করা হয়ে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, পড়ুয়াদেরই একাংশ বিশ্বভারতীতে পড়াশোনার প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে। আর তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছেন কয়েকজন অধ্যাপক।
advertisement
Madhab Das
Location :
First Published :
November 24, 2022 2:29 PM IST