রবিবার সকালে বাড়ির উঠোনে কাজ করার সময় অমল পাল নামে আরও একজনকে পায়ে কামড় দিয়ে জখম করে হনুমান। আহত ব্যক্তিকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য । আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও দেখুন
গ্রামবাসীরা হাতে লাঠি নিয়ে গ্রাম ছাড়া করার চেষ্টা করছে হনুমানগুলিকে। প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে দুবরাজপুরের পন্ডিতপুর ও হালসোত গ্রামে হনুমানের তাণ্ডবে আতঙ্কিত ছিল গ্রামবাসীরা । সেই সময় হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছিল প্রায় ১৫ জন ।
advertisement
বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল এলাকার প্রাইমারি স্কুল। সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতে ফের ওই একই গ্রামে হনুমানের তাণ্ডব। নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। হনুমানের কামড়ে আহত আমল পালের দাদা বলেন, ” ভাই উঠোনে কাজ করছিলো সেই সময় হঠাৎ দুটো হনুমান এসে আমার ভাইকে পায়ে কামড়ে দিয়ে চলে যায় । গতকালও একজনকে সাইকেল থেকে ফেলে তাকে জখম করে এই হনুমানগুলি । আজ থেকে দু-মাস আগেও এই হনুমানের অত্যাচার ছিল । সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবার বেশ কিছু হনুমান পন্ডিতপুর ও হালসোত এই দুটি গ্রামে তান্ডব চালাচ্ছে । এদের ভয়ে বাচ্চাদেরও বাড়ি থেকে বের করতে পারছি না । “
আরও পড়ুন – Kitchen Hacks: কাঁচা আম কী করে পাকাবেন, জাস্ট অল্প সময়েই বাড়িতেই পেকে আম হবে টুসটুসে
পন্ডিতপুরের বাসিন্দা তপন দাস বলেন, ” এর আগেও হনুমানের অত্যাচারে স্কুল বন্ধ ছিল । সেই সময় বন দফতর যে হনুমানটিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সেটি বাদেও অনেক হনুমান ছিল যাদের ধরা হয়নি । আমরা চাই এই হনুমান গুলিকে তাড়ানো হোক।”
ওই গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার ধীবর জানান , ” আমরা মাছ বিক্রি করছিলাম সেই সময় অমল মাছ বাছছিল তখনই তিনটে হনুমান মারামারি করতে করতে এল অমলকে কামড়ে চলে গেল । তারপরই তাকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেও অনেক হনুমান তান্ডব চালিয়েছে গ্রামে । কিন্তু তাদের তাড়ানো সম্ভব হয়নি। আমরা চাই এই হনুমান গুলিকে যাতে তাড়ানো হয়।”
Supratim Das