গতকালই হাসপাতালের অধিকর্তা জানিয়েছিলেন, ‘পুশ ফ্রম বিহাইন্ড’ অর্থাৎ, পিছন থেকে ধাক্কার ফলেই পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও শুক্রবার সকালে নিজের সেই মন্তব্যের বিশদে ব্যাখ্যা দেন তিনি৷ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়া এতটাই জোরাল ছিল যে, তাতে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে৷
advertisement
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মমতার কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই তাঁর নিজের গাড়িতে করে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএমে নিয়ে যান। মমতাকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানোর পরেই আট চিকিৎসকের একটি দল দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে। প্রাথমিক শুশ্রূষা এবং সেলাই সেরে তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। তার পরে পাশের বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে নিয়ে গিয়ে মাথার সিটি স্ক্যান করে দেখা হয় যে, আঘাত কতটা গভীর। তার পর পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে থাকতে রাজি হননি, সেইকারণে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছে বর্তমানে।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে বীরভূমের তারাপীঠের মা তারার মন্দিরে পুজো দিলেন কোর কমিটির পাঁচ সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার, তথা রামপুরহাটের বিধায়ক ও কোর কমিটির সদস্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আশিসবাবু বলেন, ‘‘মমতা দিদির ঘটনা শুনে মনখারাপ হয়ে গিয়েছে। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রার্থনা করি।’’
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরে প্রথমে ৯ জনের একটি কোর কমিটি গঠন করা হয় বীরভূম তৃণমূলের সংগঠনের দেখাশোনা করার জন্য। তারপরে কিছুদিন আগে সেই ৯ জনের কোর কমিটি ভেঙে পাঁচজনের কোর কমিটি করা হয়েছে। চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায় চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহ, সুদীপ্ত ঘোষ ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সৌভিক রায়





