জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক ধরেই খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার সাগরভাঙা গ্রামের রামপদ রজকের পাঁচ বছরের নাতি বায়না ধরেছিল দুবরাজপুর ঘুরতে আসার জন্য। সেই মতো সোমবার রামপ্রসাদ রজক দুবরাজপুর কাজে এলে তিনি সঙ্গে তার নাতিকে নিয়ে আসেন। দাদু নিজের কাজে প্রথমেই দুবরাজপুর আদালতে যান, পরে সেখান থেকে নাতিকে নিয়ে যান দুবরাজপুর বাজারে। দাদু যখন বাজারে জিনিস কিনতে ব্যস্ত তখন নাতি হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ একদিকে পানীয় জল অপচয় রোধের প্রচার, অন্যদিকে অবাধে অপচয়!
নাতিকে হারিয়ে হতবঙ্গ হয়ে পড়েন রামপ্রসাদ রজক। অন্যদিকে এক ব্যক্তি পোদ্দারবাঁধ মোড়ে রাস্তায় সেখানে এক শিশুকে দেখতে পান 'দাদু দাদু' করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি তৎক্ষণাৎ সেখানে কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কালীচরণ দাসকে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার সেখান থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দুবরাজপুর থানায়। শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসার পর তার পছন্দমত চকলেট, মিষ্টি ইত্যাদি খাইয়ে তাকে শান্ত করা হয় এবং তার নাম ও বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি প্রকোপের মাঝেই আবর্জনা বাড়ছে বোলপুরের স্টেশন সংলগ্ন হাটতলায়!
কোনভাবে ওই শিশু নিজের নাম এবং বাড়ি কোথায় তা জানায়। আধো আধো গলায় শিশুর থেকে পুলিশ যেটুকু জানতে পারে সেই নিয়ে শুরু হয় খোঁজ। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজ চালিয়ে ওই শিশুর ঠিকানা খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় পুলিশ এবং তার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এমনকি ফোনে ওই শিশুর সঙ্গে তার অভিভাবকদের কথা বলানো হয়।
অন্যদিকে আবার দীর্ঘক্ষণ ধরে নাতিকে খুঁজে না পেয়ে দাদু দুবরাজপুর থানায় ছুটে আসেন এবং সেখানে এসে দেখতে পান তার নাতি থানাতেই রয়েছে। নাতিকে থানায় দেখতে পেয়ে স্বস্তি ফেরে দাদুর। অন্যদিকে দাদুকে দেখতে পেয়ে খুশি হয় নাতি। পুলিশ এইভাবে তার নাতিকে সামলে রাখার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দাদু রামপদ রজক।
Madhab Das