এর পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সঞ্জীব মজুমদারের থেকে সেই ভাবে কোনরকম সহযোগিতা পাননি সিবিআই আধিকারিকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় বুধবার তাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং দুপুরবেলায় তিনি রতনকুঠিতে হাজির হলে দু'ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুর্গাপুজোর পর সিবিআইয়ের র্যাডারে কেবলমাত্র সঞ্জীব মজুমদার রয়েছেন তা নয়। এর পাশাপাশি বুধবার বোলপুর জুড়ে ফের নিজেদের বিছিয়ে দিতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের।
advertisement
এদিন তাদের বোলপুরের রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছাতে দেখা যায়। জানা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে এবং দিদি, জামাইবাবুর সম্পত্তির উৎসের হদিস পেতেই এই হানা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং তাকে রতনকুঠিতে ডেকে পাঠানো হয়। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের মা অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের দিদির নামে যে শিব শম্ভু রাইস মিল রয়েছে সেখানে ফের সিবিআই আধিকারিকদের হানা দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রেহাই নেই বৃষ্টির থেকে, আগামী ৩-৪ দিনের আবহাওয়া নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষ সিবিআই আধিকারিকদের নোটিশ পেয়ে রতনকুঠিতে পৌঁছান এবং সেখানে তাকে দু'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি বুধবার ফের একবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে ডেকে পাঠানো হয় রতনকুঠির সিবিআই ক্যাম্পে। যদিও সিবিআই আধিকারিকদের সেই ডাকে সুকন্যা মন্ডল হাজিরা দেননি।
আরও পড়ুন: 'চিঠি যখন পাওয়া গেছে..', অবিলম্বে মমতাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী
অন্যদিকে অনুব্রত মন্ডলের গ্রামের বাড়ি নানুরেও বেশকিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। সেই সকল সম্পত্তি সম্পর্কে নথি সংগ্রহ করার জন্য এদিন নানুরের সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয় রতনকুঠিতে। তিনি এদিন সেখানে এসে বেশকিছু নথিপত্র সিবিআই আধিকারিকদের কাছে পেশ করেন। এছাড়াও আশুতোষ মুখার্জি নামে এক শিক্ষককে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তিনি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ একজনকে তার একটি জমি বিক্রি করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিছু না জানালেও জানা যাচ্ছে, কত টাকায় তিনি সেই জমি বিক্রি করেছিলেন এবং সেই টাকা নগদ না ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল সেই তথ্য জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
----Madhab Das