পরিকাঠামোর অভাবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাদের পক্ষে পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করা সম্ভব নয়। তবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলার আয়োজন নিয়ে হাত তুলে দিলেও বোলপুর পুরসভা এগিয়ে এসেছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
এরই মধ্যে বুধবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বোলপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় এবং সেই বৈঠক শেষে আত্মবিশ্বাসের সুরে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ জানান 'মেলা হবেই'।
advertisement
আরও পড়ুন : পুতুলনাচ বাঁচিয়ে রাখার জন্য 'মানব পুতুলদের' নিয়ে অভিনব উদ্যোগ বীরভূমের নাট্যশিল্পীদের
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ জানান, " বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং আমাদের মধ্যে মেলার আয়োজন নিয়ে সুবিধা অসুবিধা কথা আলোচনা হয়েছে। তবে এদিনের বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী না থাকার কারণে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরোপুরিভাবে জট না কাটলেও তিনি জানান, মেলা হবেই।
এছাড়াও তিনি জানান, বিশ্বভারতীর মাঠেই সবার সহযোগিতায় মেলার আয়োজন করতে তারা আগ্রহী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্য বোলপুর এবং শান্তিনিকেতনের যৌথ উদ্যোগে বজায় থাকবে।"
আরও পড়ুন : বাঘমুন্ডি বিডিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে, গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি পার্শ্ব শিক্ষকদের!
অন্যদিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এদিনের বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও বৈঠক শেষে বিশ্বভারতীর তরফে অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য জানান, বোলপুর পৌরসভাকে ছাড়া মেলার আয়োজন হতে পারে না। এদিনের বৈঠকে যে সকল সমস্যা উঠে এসেছে সে সকল সমস্যা লিখিত আকারে পুরসভার তরফ থেকে চাওয়া হয়েছে। আজ যে আলোচনা হয়েছে তা পজিটিভ আলোচনা হয়েছে এবং যে সকল জট রয়ে গিয়েছে সেই সকল জট যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান করা হয় তার জন্য বিশ্বভারতীর তরফ থেকে বৈঠকে বসে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি তার ব্যবস্থা করা হবে।