বীরভূমের নলহাটির আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা সোমা দাস ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভাল। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষায় ভাল ফলাফল করেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে ২০১৯ সালে তার একবার জ্বর আসে। সেই জ্বর না কমায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা শুরু হলে নানান চিকিৎসার পর ধরা পরে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্লাড ক্যান্সার। এই ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে লড়াই চালিয়ে অবশেষে শিক্ষিকা হিসেবে শনিবার চাকরিতে যোগ দিলেন সোমা।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ থেকে বাংলার শিক্ষিকা ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা, যোগ দিলেন চাকরিতে
চিকিৎসার জন্য সোমাকে মুম্বইয়ে পাড়ি দিতে হয়েছিল। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর ফের আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এই আন্দোলন চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তাকে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন। তবে বিচারপতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে বিচারপতি শিক্ষা দফতরের সচিবকে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। সেইমতো সোমাকে চাকরিতে নিয়োগের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। চাকরিতে নিয়োগ পত্র পাওয়ার পর শনিবার সোমা নলহাটির মধুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছান নিয়োগপত্র নিয়ে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার নিয়োগপত্র খতিয়ে দেখে তাকে স্কুলে শিক্ষকতা করার অনুমতি দেন এবং সব সময় তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: 'এটাও কি হার্টের সমস্যা?' কেকে-র মৃত্যুর পর আতঙ্কে ডাক্তারের কাছে ছুটছেন অনেকেই
অন্যদিকে, সোমা চার বছর আগের চাকরিতে যোগ দিলেও জানিয়েছেন, তার ভাল লাগলে ভালো লাগা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনের মঞ্চে থাকা বাকিদের মুখ মনে পড়ে। সবাই যদি এক সঙ্গে যোগ দিতেন তাহলে অনেক অনেক ভালো লাগতো। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি বাকি সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গেই থাকবেন, যতক্ষণ না তারা তাদের লড়াইয়ে জয়লাভ করেছেন।
Madhab Das