আগে যেখানে এক একজন ক্রেতাকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বাজার করতে হত, সেই জায়গায় এখন তারা অর্ধেক টাকা খরচ করেই ব্যাগ ভর্তি করে বাড়ি ফিরছেন। এমনকী এখন আলুর দামও রয়েছে আয়ত্বের মধ্যে। মাস খানেক আগেই একটি ফুলকপির পিছনে ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ করতে হত, সেই ফুলকপি এখন সাত থেকে ১০ টাকায় বাজারে ছড়াছড়ি। বাঁধাকপির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। পালং শাক থেকে বেগুন সবকিছুই এখন ১০ টাকায় মিলছে সিউড়ি এবং তার পার্শ্ববর্তী বাজারে।
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে উল্টে গেল ট্রাক্টর, তিন পাল্টি পিকআপ ভ্যানে! মৃত ১
একটু বেশি দাম রয়েছে মটরশুঁটি, পেঁয়াজের। দাম কমেছে আদা, রসুন, লঙ্কারও। বিক্রেতাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে তাঁরা এই সকল শাকসবজি ওজনে বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন দাম এতটাই কমেছে যে ওজন করার আর দরকার হচ্ছে না। গোটা গোটা ফুলকপি, বাঁধাকপি দিয়ে দিচ্ছেন ১০ টাকার কম দামেই। আবার পালং শাক-সহ অন্য় শাক সবজিও আঁটি আঁটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৫-১০ টাকাতেই।
আরও পড়ুন: বিড়ালের মতো দেখতে, কিন্তু বিড়াল না! বীরভূমে আজব প্রাণী ঘিরে হইচই
তবে দাম এখন খুব কমে যাওয়ার ফলে তাদের লাভের অঙ্কও কমে গিয়েছে। কারণ আগে যত টাকার জিনিসপত্র লেনদেন হত তা এখন আর হচ্ছে না। অন্যদিকে ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে এসে আগে থলি ভর্তি করতে হিমশিম খেতে হত, এখন আবার থলি ভর্তি করে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীতের বাজারের এখন পরিস্থিতি এমনই যে, 'কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ'।
মাধব দাস