বীরভূমের নলহাটি দু'নম্বর ব্লকের অন্তর্গত শীতল গ্রামের বেশকিছু মহিলা এই ভাবেই উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন। সেখানকার শঙ্কর মহারাজ নামে ব্যক্তি এই পথ দেখাচ্ছেন এলাকার গৃহবধূদের। তিনি যে ভাবে গ্রামে পৈতে তৈরি করছেন তাতে একপ্রকার কুটির শিল্প তৈরি করে ফেলেছেন। তার এই প্রচেষ্টাতেই কোনও কোনও গৃহবধূ দৈনিক ১৫০ টাকা, আবার কোনও কোনও গৃহবধূ প্রতিদিন ৫০০ টাকাও হাতে গুনে নিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে, শংকর মহারাজের কাছে ৪২ রকমের উপবীত তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে যারা ছোট উপবীত তৈরি করেন তাদের প্রতি এক হাজার উপবীত তৈরি করার জন্য ১৫০ টাকা দেওয়া হয় এবং যারা বড় উপবীত তৈরি করেন তাঁদের ৫০০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মহিলা রয়েছেন যারা নিজেদের সংসারের কাজ সামলেও এই ১০০০ উপবীত তৈরি করে দিতে পারেন দিনে। সেই হিসাবেই তারা মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করছেন নিজের গ্রামে বসেই।
আরও পড়ুন : লটারিতে হবে রুট ভাগ, বর্ধমানে আগামী সপ্তাহ থেকেই দিনে রাতে আলাদা রঙের টোটো চলবে
এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা জানিয়েছেন, তারা এইভাবে উপবীত তৈরি করতে পেরে খুব খুশি। কারণ এতে তাদের রোজগার হচ্ছে। রোজগার হওয়ার কারণে সংসারের খরচ চালানোর ক্ষেত্রে তাঁদের স্বামীর কাছে সবসময় হাত পাততে হচ্ছে না। তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাও সহজে চালাতে পারছেন।
আরও পড়ুন : বেহাল পথে স্কুল যেতে নারাজ পড়ুয়ারা, রাস্তার দুরবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা ধান পুঁতলেন সেখানেই
প্রসঙ্গত, শংকর মহারাজ পৈতে তৈরি করার সুতো কলকাতা থেকে নিয়ে আসেন। তার পর সেই সুতোর সঙ্গে নানা উপকরণ মেশানো হয়। এর পর তাকে রিফাইন করা হয়। তারপর সেটিকে শোকানো হয় রোদে। এর পর এই সকল সুতো পৌঁছে যায় এলাকার ওই গৃহবধূদের কাছে। তাঁরাই পরে নিজেদের সংসারের কাজ সামলানোর পর বিভিন্ন রকমের পৈতে তৈরি করেন।