পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের মাটি শক্ত করতে রবিবার মল্লারপুরের নিমিতলায় আয়োজন করা হয়েছিল একটি জনসভার। যে জনসভার মূল আকর্ষণ ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই জনসভাতেই অংশগ্রহণ করতে আসেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জনসভায় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি এদিন মল্লারপুরের এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন এবং তখনই নবান্নের প্রসাদ খেয়ে নবান্ন উৎসব পালন করতেও দেখা যায়। এর পাশাপাশি একজন এত বড় নেতার সাধারণ এক কর্মীর বাড়িতে আসাকে ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ছিল আলাদা উৎসাহ উন্মাদনা।
advertisement
আরও পড়ুন: গাড়িতে প্রেস লেখা, নাকা চেকিংয়ে থামাল পুলিশ! তারপর যা জানা গেল, ঘুম উড়ে যাবে
সুকান্ত মজুমদার এদিন যে কর্মীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন তিনি হলেন গোয়ালা গ্রামের ছায়ারানী মন্ডল। সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতিকে পেটপুরে খাওয়ানোর জন্য ছায়া রানী দেবী সকাল থেকেই নিজের বাড়িতে রান্না বান্না করার তোড়জোড় শুরু করেন। রাজ্য সভাপতি ছাড়াও অন্যান্য কর্মীরাও তার বাড়িতে খাবেন এই নিয়ে তাদের মধ্যে সকাল থেকে চরম ব্যস্ততা দেখা যায়। খাবারের মেনুতে ছায়া দেবী রেখেছিলেন নতুন ধানের চাল গুঁড়ো, কলা, পায়েস, আলু পোস্ত, বেগুন ভাজা, মুলো ভাজা, ফুলকপি তরকারি, মাছ ভাজা, দই, পাঁপড়, মিষ্টি, পায়েস ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর! উত্তাল বিধানসভা, তুমুল স্লোগান বিজেপির
এই সকল আয়োজনের পর দুপুর গড়াতেই সুকান্ত মজুমদার এবং তার সঙ্গী সাথীদের ছায়া দেবীর বাড়িতে পৌঁছাতে দেখা যায়। তারা সেখানে উপস্থিত হতেই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। সেখানে মাটিতে বসেই তাদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত ছিল। খাওয়ার থালা হিসাবে ছিল কলাপাতা। প্রথমেই নবান্নের প্রসাদ দেওয়া হয় এবং তারপর মধ্যাহ্ন ভোজের পদ একে একে দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারের পাতে। সুকান্ত মজুমদারকে এইভাবে খাওয়াতে পেরে খুশি ছায়া দেবী।
----Madhab Das