যদিও তৃণমূলের বীরভূম জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মত এই বছরও পূজো হবে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে। সেক্ষেত্রে জেলা কমিটির যে সকল সদস্যরা রয়েছেন তারা এক হাজার টাকা করে অনুদান দেবেন এই পুজোর জন্য। যে দেড় লক্ষ টাকা তাই হবে তা দিয়েই ধুমধাম করে পুজো হবে।
আরও পড়ুন: 'নির্মমতার শেষ সীমা', মধ্যরাতের অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!
advertisement
পুজোর আয়োজন নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠছে? কেষ্ট দা তো জেলে তাহলে কালী মায়ের অলংকার কে পরাবেন? কারণ এর আগে প্রতিবছর অনুব্রত মণ্ডলকে নিজে হাতে কালী মায়ের গায়ে অলংকার পরাতে দেখা গিয়েছে। কেবলমাত্র যে যে বছর তার মা ও স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন সেই দু'বছর নিজের হাতে অলংকার পরান নি তবে তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: 'জেল থেকে বেরিয়ে আসুক অনুব্রত মণ্ডল', বীরভূমে আজব কাণ্ড ঘটালেন মহিলারা!
এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মন্ডলের অনুপস্থিতিতে এই বছর বোলপুরের তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের কালী প্রতিমার গায়ে অলংকার পরাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারীরা। দলীয়ভাবে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৮ সালে শুরু হওয়া অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজোয় ১১ সালের পর থেকে ধুমধাম বাড়তে শুরু করে। ধুমধাম বাড়তে শুরু করার পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে সোনার অলংকার। ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে এই সোনার গহনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই কালীপুজোয় দেখা যায় সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের কালী পুজোয় এই গয়নার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭০ ভরি। প্রতিবছরের মতো এই বছরে কী এই অলংকারের পরিমাণ বাড়বে? তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।
----Madhab Das