অন্যদিকে, এই ঘটনার পর এক মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল এবং অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন টেট পরীক্ষা পাশ না করেই চাকরিতে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে। ওই মামলাকারী অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও চাকরি পাওয়ার করার অভিযোগ পাশাপাশি একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: জমির বিনিময়ে গরু? অনুব্রতর পাচার-পদ্ধতি খুঁজতে গিয়ে আকাশ থেকে পড়ছে সিবিআই!
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল যে স্কুলে চাকরিতে নিযুক্ত সেই স্কুলটির নাম কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে তিনি ২০১২ সালে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন। চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার বছরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলেই অভিযোগ। সুকন্যা মন্ডলের স্কুল তাঁর বাড়ি থেকে হাতে গোনা কয়েক মিনিট দূরে হলেও তিনি ওই স্কুলে যাননি বলেও অভিযোগ। বরং স্কুলের হাজিরা খাতা তাঁর বাড়িতে চলে আসত। বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে বেতন তুলতেন বলে অভিযোগ সুকন্যা মন্ডলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: অর্পিতার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পার্থকে ৫ ঘণ্টা জেরা, আরও সম্পত্তির খোঁজে ইডি!
হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল ছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ মিলে মোট ছয় জনের নাম রয়েছে। এই ছয় জন হলেন অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল, নেতার পিএ অর্ক দত্ত, কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। যদিও অনুব্রতর ভাই সুমিত মন্ডল এই ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যাবেলায় বোলপুর থানায় অভিযোগ করতে যান তাঁর বিরুদ্ধে যে খবর প্রচার হচ্ছে তা ভুল এমন দাবি তুলে। তবে সেই অভিযোগ থানার তরফ থেকে নেওয়া হয়নি। সুমিত মন্ডল জানান, এই মামলাটি সম্পূর্ণভাবে বিচারাধীন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি।
মাধব দাস