এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন লটারির টিকিট বিক্রেতাদের তলব করেছেন। এবার এই তলবের তালিকায় নতুন সংযোজন বাপি গাঙ্গুলী। তাকে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের রতন কুঠি, যেখানে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, সেখানে তলব করা হয়। এখন প্রশ্ন হল তার থেকে কী কী জানতে চাওয়া হয়?
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা খেল সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল!
advertisement
সিবিআই আধিকারিকরা তার থেকে জানতে চান, বোলপুরে কত লটারি বিক্রি হয়? কত প্রাইজ আসে? কত লোক টিকিট সেলার হিসেবে বিক্রি করেন ইত্যাদি। তবে বাপি গাঙ্গুলীর নামে ওই টিকিট বিক্রেতা দাবি করেছেন তাকে সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কীভাবে টিকিট বিক্রি হয়? কীভাবে এই টিকিটে আশা প্রাইজের ক্লেম হয় ইত্যাদি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে পুনরায় আদালতে পেশ করার আগে সিবিআই আধিকারিকরা লটারির টিকিটে জেতার টাকা নিয়ে নিজেদের হাত পোক্ত করে নিতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: হেলমেটে মুখ ঢেকে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সিবিআই দফতরের পথে ইনি কে? বিপদে অনুব্রত!
তবে এদিন শুধু ওই লটারির টিকিট বিক্রেতাকে ডেকে তলব করা হয়েছে এমন নয়, এর পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বোলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় যার বাড়িতে আগেও সিবিআই আধিকারিকদের হানা দিতে দেখা গিয়েছিল।
---Madhab Das