পেশায় সরকারি কর্মচারী হলেও নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে তিনি বিভিন্ন শস্যদানার মধ্যে বিভিন্ন মনীষী থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ছবি এঁকে থাকেন। এবার কুমড়ো বীজের ওপর বিভিন্ন মনীষীদের ছবি এঁকে অবাক করলেন শিল্পী প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দি।
আরও পড়ুন: তিন ছাত্রীকে নিয়েই হয় ক্লাস! শিক্ষিকাও হাতে গোনা, কেন এই অবস্থা স্কুলের? কারণ জানলে অবাক হবেন
advertisement
বীরভূমের মারগ্রাম থানার অন্তর্ভুক্ত বসোয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দি। বাবা রাধাশ্যাম সিমলান্দি ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। আর সেই কারণেই সবাই বসোয়া ছেড়ে চলে আসেন বীরভূমের রামপুরহাটে। তবে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই হাসপাতালের সামনেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রাণকৃষ্ণ বাবুর বাবার।তবে এই ঘটনার পর আর নিজের গ্রামে ফিরে যাননি প্রাণকৃষ্ণ বাবু।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরে এবারও ‘হিরো’ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স! দ্রুত স্থানান্তর করা যাবে অসুস্থদের
বসোয়া নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় প্রধান শিক্ষক উমাপ্রসন্ন মজুমদারের সহযোগিতায় রং তুলিতে মিলিয়ে মিশিয়ে নিজেকে এক করে ফেলেন প্রাণকৃষ্ণ বাবু। পারিবারিক অনটনের মধ্যে তিনি ছুটেছেন তুলির টানে। বহু জায়গায় পেয়েছেন বহু সম্মান।
২০০৪ সালে একটি পোস্তর দানার উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এরপরে মসুর ডালের উপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর লালুপ্রসাদ যাদবের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলে তাদের হাতে তুলে দেন তিনি।
বর্তমানে রামপুরহাট শহরের ভারশালা পড়ার বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ বাবু এবার একটি কুমড়োর বীজের উপর বিভিন্ন মনীষীদের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রাণকৃষ্ণ বাবু। তিনি জানান নিজের কর্মব্যস্তময় জীবনে কাজের ফাঁকে সময় বের করে মধ্য রাত পর্যন্ত সৃষ্টির নেশায় মত্ত হয়ে থাকেন। মাত্র দুদিনের চেষ্টায় কুমড়োর বীজের উপর জল রং দিয়ে মনীষীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
সৌভিক রায়