তিন ছাত্রীকে নিয়েই হয় ক্লাস! শিক্ষিকাও হাতে গোনা, কেন এই অবস্থা স্কুলের? কারণ জানলে অবাক হবেন
- Published by:Sayani Rana
- news18 bangla
Last Updated:
ফাঁকা পড়ে স্কুল। শিক্ষিকা থেকে ছাত্রী সবটাই হাতে গোনা। গোটা বিদ্যালয়ে আছেন মোট দুজন শিক্ষিকা এবং তিন জন ছাত্রী। তাঁদের নিয়ে চলে স্কুল। তবে এই তিন ছাত্রী দেখা মেলে না অধিকাংশ দিনই।
পুরুলিয়া: ফাঁকা পড়ে স্কুল। শিক্ষিকা থেকে ছাত্রী সবটাই হাতে গোনা। গোটা বিদ্যালয়ে আছেন মোট দুজন শিক্ষিকা এবং তিন জন ছাত্রী। তাঁদের নিয়ে চলে স্কুল। তবে এই তিন ছাত্রী দেখা মেলে না অধিকাংশ দিনই, বিদ্যালয়ে আসে না ছাত্রীরা। সমাজ গড়ার কারিগররা রীতিমতো কারযহীন। ঘড়ির দিকে তাকিয়েই কেটে যায় সময়। বিদ্যালয়ে এসে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। স্কুলের সময় পেরিয়ে গেলে বাড়ি চলে যান শিক্ষিকারা।
স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা হাতে গোনা, তার ওপর আবার বছরে বেশির ভাগ দিনই তাদের দেখা পাওয়া যায় না তাই বন্ধ হয়েছে মিড ডে মিলের রান্নাও। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে এমনই অবস্থা রয়েছে পুরুলিয়া ২ ব্লকের নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়।
advertisement
advertisement
২০১২ সালে তৈরি হয় নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়। সেই সময় ৩ জন শিক্ষিকা এবং ২৫ জন ছাত্রীকে নিয়ে চালু হয়েছিল পঠনপাঠন । কিন্তু বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ৩ জনে এবং শিক্ষিকা রয়েছেন ২ জন । বেশিরভাগ দিনই অনুপস্থিত থাকেন ছাত্রীরা। শিক্ষিকারা প্রতিদিন বিদ্যালয়ের আসেন, ঘড়ি দেখে সময় পার করে বাড়ি চলে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্ত নদীর, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, একদিনের ছুটিতে ঘোরার আদর্শ ঠিকানা জঙ্গলের মাঝের এই মন্দির
ছাত্রীদের ভর্তি না হওয়ার কারণ, এই বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ কিমির মধ্যে রয়েছে তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষিক-শিক্ষিকা রয়েছেন, শিক্ষার পরিকাঠামোও তুলনামূলক ভাবে ভাল। তাই ছাত্রীদের পঠনপাঠনের সুবিধার্থে সেই সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রীদের ভর্তি করান অভিভাবকরা।
advertisement
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 11, 2024 12:15 PM IST