আর মায়ের মুখ্য প্রসাদ হিসেবে ব্যাবহার করা হয় অতিকায় নাড়ু। যার সাইজ কখনও কখনও ২ কেজির ওপর যায়। পরিচিত নাম ' পাহাড় '।
ক্ষত্রিয় ব্রাহ্মণদের গ্রাম এই ভূতশহর। গ্রামবাসীদের অধিকাংশের মুখ্য পদবী \"রাঠোর\" ও \"চৌহান\" বর্তমানে রূপান্তরিত হয়েছে \"সিংহ\" তে। জানা যায় বহু বছর আগে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজার থেকে মা সংকট তারিণীর ঘট নিয়ে এসেছিলেন জনৈক গুরুদয়াল সিং।
advertisement
আরও পড়ুন: Home Stay Mystery|| পাহাড়ে গিয়ে আপনি আদৌ হোম স্টে-তেই থাকছেন তো? অবশেষে আসল রহস্য ফাঁস!
পারিবারিক সংকট মোচন এবং জমি সংক্রান্ত ঝুট ঝামেলা থেকে রেহাই পেতেই গ্রামে শুরু হয় মা সংকট তারিণীর পূজা এবং মেলা যা বর্তমানে এক মহা মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কোন বিগ্রহ এবং মন্দির ছাড়াই বছরের পর বছর পূজিত হচ্ছেন মা সংকট তারিণী।
আরও পড়ুন: Howrah News: সর্বত্র দেখা মেলে এই জংলি গাছের! জানেন কতটা উপকারী এই গাছ
মা সংকট তারিণীর এই পুজো এবং অতিকায় নাড়ুর কাহিনী অজানা অনেকেরই। তবুও কয়েকবছর হল ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা এসেছে এই মেলায়। মেলার মৌলিকতা এবং ভুতশহর গ্রামের প্রাচীন না জানা ইতিহাস রোমাঞ্চের সঞ্চার করে। অতিকায় গুড়ের পাহাড় দিয়ে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়দের গ্রাম ভূতশহরের মা সংকট তারিণীর এই পূজা এক নতুন মাত্রা এনে দেয় বাঁকুড়া জেলার সংস্কৃতিতে।
Nilanjan Banerjee