চার মাসের একটি সেমিস্টারের জন্য তিনি পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে। এই সময়ে তিনি ঘুরে দেখেন আমেরিকার একটি গ্রামীণ স্কুল ও একটি শহুরে স্কুল—দুটির শিক্ষাব্যবস্থার তুলনামূলক অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি অফ পেন্সিলভেনিয়া–তে সম্পন্ন করেন তাঁর বিশেষ এডুকেটার কোর্স। বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে মত ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানও এই সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
advertisement
আরও পড়ুন: মোষের কারণে ব্যাহত রেল পরিষেবা! যাত্রী ভোগান্তি ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায়
এই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতি হিসেবেই জয়িতা ব্যানার্জি তৈরি করেছেন একটি অভিনব ‘ডুয়েল টুল কিট’। তাঁর বিশ্বাস, এই টুলকিট বাঁকুড়া তথা বাংলার গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের রিডিং বা পড়ার সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা নিতে পারে। কারণ পড়াশোনার ভিত্তি স্তরই হল রিডিং—পড়তে না পারলে শেখার গতি থমকে যায়। সেই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিশেষ বিষয় হল, গ্রামীণ স্কুলগুলির কথা ভেবে এই টুলকিটে প্রযুক্তির ব্যবহার রাখা হয়েছে ন্যূনতম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের পাঠ্যবই ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে এই এডুকেশন টুল। আগামী দিনে পাঠ্যপুস্তককেই শ্রেণীকক্ষের অ্যাসেসমেন্ট ও ইন্টারভেনশন টুলে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়েছেন তিনি। নিজের বিদ্যালয় নিকুঞ্জপুর হাই স্কুলে প্রথমে এই টুলকিট পাইলট করতে চান জয়িতা ব্যানার্জি। সাফল্য মিললে তা রাজ্য এবং ভবিষ্যতে জাতীয় স্তরেও পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বাঁকুড়ার এক শিক্ষিকার হাত ধরেই যদি পড়ার জড়তা কাটিয়ে এগিয়ে যায় গ্রামের স্কুল—তবে সেটাই হবে এই আন্তর্জাতিক যাত্রার সবচেয়ে বড় সাফল্য।





