UNFC শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, G4 বা রেকনেসাঁস পর্যায় হল খনিজ অনুসন্ধানের একেবারে প্রাথমিক ধাপ। এই পর্যায়ে কোনও এলাকায় খনিজ থাকার প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়, কিন্তু এখান থেকেই সরাসরি খনন বা বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধাপ সফল হলে ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান—যেমন G3, G2 ও G1 পর্যায়ে যাওয়ার পথ খুলে যায়।
advertisement
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানান, বাঁকুড়ার মাটির নিচে সোনার সম্ভাবনার খবর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে সঠিক অনুসন্ধান ও পরিকল্পিত উন্নয়ন হলে এর ফলে জেলার আর্থসামাজিক চেহারায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সাংসদের এই পোস্টের পর সাধারণ মানুষের কৌতূহল ও প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একই সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে পাশের পুরুলিয়া জেলাতেও একাধিক এলাকায় সোনা এবং বিরল খনিজ বা REE (Rare Earth Elements) নিয়ে অনুসন্ধান হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—তাহলে কি সত্যিই বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ভবিষ্যৎ বদলাতে চলেছে? খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার হলে এই জঙ্গলমহল অঞ্চলে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করে বলছেন, এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছন ঠিক নয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর আরও উন্নত পর্যায়ের সমীক্ষা, খনিজ ব্লকের নিলাম এবং অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই—এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে এখনও অনেকটা পথ বাকি। তবুও দুর্লভপুর–গঙ্গাজলঘাটির নাম সরকারি নথিতে উঠে আসা মানেই বাঁকুড়ার উন্নয়ন মানচিত্রে একটি আশাব্যঞ্জক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মনে করছেন অনেকেই।






