অস্থায়ী কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা আশায় রয়েছেন কখন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং তার পরেই আবার তারা তাদের কর্মে সামিল হবেন। আন্দোলনকারী সমীর মালাকার , আব্দুল হোসেন খান এবং সৌরভ চক্রবর্তীরা বলেন তাদের সাত দফা দাবি নিয়ে তারা এই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। তবে যে সমস্ত স্থায়ী চালক এবং পরিচালকরা বাস নিয়ে রাস্তায় বেরোবে তাদের কোনোরূপ বাধা দেওয়া হবে না বলেও তারা জানান। তাদের কর্ম বিরতি আজ চতুর্থ দিনে পড়ল কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনটুকু মনে করেননি বলে তারা জানান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দিনে পড়ল অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক বাসচালক ও পরিচালকদের কর্মবিরতি
তাদের পারিশ্রমিক হয় দৈনিক কাজের ভিত্তিতে। নিয়মমতো ২৬ দিনের কাজ মেলার কথা থাকলেও সময় মত মেলে না কাজ। আর সঠিক সময়ে কাজ না মেলায় চার-পাঁচ হাজারের বেশী মজুরি মেলে না। আর এই পারিশ্রমিকে সংসার চালাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাদের। তাদের দাবি সারাদিন তারা যে পরিশ্রম দেন সে অনুপাতে মজুরি পান না। তাই সমকাজে সমবেতনের দাবিও জানান তারা এবং সময় মত বেতন সহ মাসের ২৬ দিনের কাজ এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুনঃ প্রাপ্য বোনাসের দাবিতে সোনামুখী পৌরসভার সামনে ঝাড়ুহাতে বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের
কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাঁকুড়া বাস ডিপোতে বাস ধরতে আসা কৌশিকী চ্যাটার্জী নামে এক বাসযাত্রী বলেন পুজোর আগে সরকারি বাস না চললে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হবে। শুক্র এবং শনি, রবি এবং সোম এই চারদিন কোনও অস্থায়ী চালক এবং পরিচালকরা কাজে যোগ না দেওয়াই স্থায়ী কর্মীরাই পরিস্থিতি মোকাবেলাই বাস নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন। তবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো থেকে বেরোনো বাসের সংখ্যা অনেকটাই কম।
Joyjiban Goswami