আম গাছের গোড়ায় লাগান হল রেড মরোক্কান ড্রাগন ফল এবং আম গাছের শক্ত পোক্ত গুঁড়িকে ভর করেই বেড়ে উঠছে প্রায় আটটি বা ষোলটি ড্রাগন ফলেরগাছ। তাতে আবার ফলও ধরেছে ইতিমধ্যে। মনে করা হত যে অপর বৃক্ষের গায়ে ড্রাগন ফল চাষ করা দুষ্কর, কারণপর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়া যাবেনা সেখানে।
advertisement
তবে, পরশমণির এই পরীক্ষামূলক চাষ যথেষ্ট সফল এই বছর। তাছাড়াও যদি বেড়া বা লোহার তার দেওয়া বেড়া থাকে তাহলে আরও সহজেই একদম বিনা মূল্যে চাষ করা যাবে এক্সোটিক এই ফল। পরশমনির ডিরেক্টর অনুপম সেন জানান যে এই প্রক্রিয়ায় ড্রাগন ফল চাষ করে প্রায় ১৫- ২০ হাজার টাকা সাশ্রয় করেছেন তারা।”
রেড মরোক্কান ড্রাগন ফলচাষের জন্য বাঁকুড়ার মাটি অত্যন্ত উপযোগী। ক্যাকটাস জাতীয় লতানো এই উদ্ভিদ চাষে বিশেষ খরচ কিছু নেই কারণ, স্বল্প জল আর পরিচর্যা সঙ্গে ছত্রাকনাশক পেলেই দ্রুত গতিতে বেড়ে ওঠে ড্রাগন ফলএর গাছ। বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হচ্ছে এই এক্সোটিক ফল।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি বাড়ি, অসহায় জীবন মূক ও বধির মহিলা
যদিও এখনও পর্যন্ত বাণিজ্যিকরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রতি কেজিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মূল্যে দেশে এবং বিদেশে আরও বেশি মূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে এই ফল। বিদেশেও রয়েছে বিপুল চাহিদা ফলেই বেশ জোরালো বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে ড্রাগন ফলচাষীদের।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী