চপ বানানো যদি কোন শিল্প হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলা তার হেড কোয়ার্টার। বাঁকুড়া শহরের সবচেয়ে বড় যে চপের দোকান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সাগরের চপের দোকান। শত বছর পুরনো এই দোকানে সারাদিনে বিক্রি হয় প্রায় ৭৫ কিলো আলুর চপ। সকাল ১০'টা থেকে শুরু করে রাত ১১'টা পর্যন্ত চলতে থাকে চপ যজ্ঞ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শোওয়ার ঘরে থরে থরে সাজানো কী! তদন্তে নেমে চমকে উঠল পুলিশই, তোলপাড়
১০ টাকার স্পেশ্যাল জাম্বো আলুর চপ দেখতে বিশাল। প্রায় এক হাতের তালুর সমান। ভেতরের মশলাটা সাধারণ চপের থেকে আলাদা এবং দোকানের টপ সিক্রেট যার মোহে পড়ে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন চপ খেতে।
বর্তমানে সাগর দত্তের বয়স ৯৩। তাই শারীরিকভাবে দোকানের সম্পূর্ণ দায়ভার তার পুত্রবধূ মিঠু দত্তর হাতে। মিঠু দত্ত জানান, তাদের দোকানে লুকোনো রয়েছে আরও এক স্পেশ্যাল চপ। যার নাম সুগার ফ্রি চপ। নাম শুনে অবাক তাই তো? নামটা জাস্টিফাই করার জন্য রয়েছে যথার্থ লজিক। সুগার ফ্রি চপ পুরোটাই তৈরি ডাল দিয়ে, এক ফোঁটাও আলু ব্যবহার করা হয় না সুগার ফ্রি চপ বানাতে। বিনা আলুতেই মাত চপ প্রেমীরা। রোজ আসছেন সুগার ফ্রি চপের স্বাদ নিতে।
Nilanjan Banerjee