নয়ের দশক থেকে ক্রমেই কমতে থাকে শকুনের সংখ্যা। কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয় গবাদি পশুর দেহে ডাইক্লোফেনাক নামক একটি ওষুধের লাগামহীন ব্যবহার। মৃত গবাদি পশুর দেহে থাকা ডাইক্লোফেনাক মাংসের মাধ্যমে শকুনের দেহে প্রবেশ করে কিডনিতে সংক্রমণ ঘটাত। এর পরিণতি ছিল শকুনের মড়ক। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে দেশে প্রথম চন্ডীগড়ের পিঞ্জর শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে শকুন ছাড়া হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে উদ্যোগী হয় রাজ্যের বক্সার রাজাভাতখাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: বাম্পার প্রাইজ! রাতারাতি কোটিপতি মালদার দিনমজুর, এত টাকা নিয়ে কী করবেন এবার?
এটি দেশের দ্বিতীয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলুপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ! বইমেলায় কিন্তু হাল্কা মেজাজেই বিচারপতি বসু
রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উন্মুক্ত আকাশে কলার আইডি (PTT) লাগিয়ে শকুন মুক্ত করা হয়। এর পর তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখে বনদফতর। সেই পরীক্ষা সফল হওয়ায় এই নিয়ে চতুর্থ দফায় মোট ৩১টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫০টি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন আকাশে মুক্ত করল বনদফতর। জানা গিয়েছে বনদফতরের এই উদ্যোগে রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে শুকুনদেরও আনাগোনা শুরু হয়েছে।
এই মুহূর্তে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে প্রাপ্তবয়স্ক ৪০টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫৫টি লং বিল্ড ও স্লেন্ডার বিল্ড শকুন রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ১৫০টি শকুন রয়েছে। প্রকৃতিতে শকুন ফের ফিরিয়ে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত বক্সা বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা।
Annanya Dey