এই নিয়ে সোমবার এক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হয় আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে। প্রতি বছরের মত এবারও বর্ষায় পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়ে বিরক্ত না করতেই বনদফতরের এই সিদ্ধান্ত।১৬ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জলদাপাড়া, গরুমারা, সুকনা ও নেওড়া ভ্যালি সহ ডুয়ার্সের সব জঙ্গল। খুলবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
advertisement
এই তিনমাস জঙ্গল বন্ধ থাকার ফলে, জঙ্গল নির্ভর ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা তিন মাস প্রায় বন্ধ থাকে বলা চলে। কারণ জঙ্গল বন্ধ থাকায় এই সময় কোনও পর্যটকের আগমন হয় না ডুয়ার্সে ।তবে এবছর পর্যটনকে চাঙ্গা রাখতে একটু আলাদা চিন্তা ভাবনা প্রশাসনের।জঙ্গল বন্ধের এই তিন মাস পর্যটন শিল্পে যাতে কোনও প্রভাব না পরে,তার জন্য জঙ্গল সংলগ্ন কিছু রুট খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এই বিষয়ে সোমবার মাদারিহাটে জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠক আয়োজিত হল । এদিনের বৈঠকে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জঙ্গলের বেশ কিছু রুট খোলা রাখার জন্য প্রস্তাব এসেছে।যেমন কোদালবস্তি সিসি রুট, মাদারিহাটে ট্রলি লাইন, জয়ন্তী নদী অবধি । এইসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিনের বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু, আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
জেলা প্রশাসনসূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে আঘাত এসেছে পর্যটন শিল্পে।এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডুয়ার্সের পর্যটন। বর্ষার তিনমাস জঙ্গল বন্ধ থাকাকালীন বন্ধ পর্যটকদের প্রবেশ। কার্যত ফের মুখ থুবড়ে পড়বে জঙ্গলের পর্যটন শিল্প।পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে জঙ্গলের কিছু রুট খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের তরফেও জানানো হয়েছে,জঙ্গলের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির কিছু রুট খোলা রাখলে ভালো হয়।পর্যটকদের জন্য কিছু অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে পর্যটন শিল্পে তেমন প্রভাব পড়বে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে,এরপর আরেকটি বৈঠক করে জঙ্গলের কিছু রুট খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে মাথায় রাখতে হবে জঙ্গলের পরিবেশ যাতে এরজন্য কোনওভাবে নষ্ট না হয়।পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের এই দায়িত্ব নিতে হবে।
অনন্যা দে