আরও পড়ুন: আর কটা দিনের অপেক্ষা, ইলিশ ধরতে মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দেবেন মৎস্যজীবীরা! চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আলিপুরদুয়ারের শিমলাবাড়ি গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য না থাকায় গ্রামের সমস্যাগুলি নিয়ে প্রধানের কাছে গত পাঁচ বছর ধরে দরবার করার কেউ ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রাম অবহেলিত হয়ে থেকে গিয়েছিল। অভিভাবকহীন গ্রামের অবস্থা কী হয় তা শিমলাবাড়ির মানুষ পাঁচটা বছর ধরে ভালোভাবেই টের পেয়েছেন। সমস্যা প্রচুর এখানে। উন্নয়ন তো দূরস্ত, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েত সদস্যের যে সুপারিশ লাগে তার সুবিধে থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত প্রধান এগিয়ে এসে নিজে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে যতটুকু করেছেন ততটুকুই কাজ হয়েছে এখানে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই হাসি ফিরেছে শিমলাবাড়ির মানুষের মুখে।
advertisement
গত পাঁচ বছর ধরে কেন এই গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য নেই তা জানতে গিয়ে এক অদ্ভুত বিষয় সামনে উঠে এলো। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দশের একশো চুরানব্বই পার্টে অর্থাৎ শিমলাবাড়ি গ্রামে যে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকে একজন মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী ওই গ্রামের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু পরে পুনরায় ভোট বা উপনির্বাচনের কথা থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে তা আর হয়নি। সেই কারণেই গত পাঁচ বছর ধরে অভিভাবকহীন গোটা গ্রাম। ফলে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কেটেছে এখানকার বাসিন্দাদের। কিন্তু ফের পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ায় অবশেষে স্বস্তির আশা দেখছেন এখানকার মানুষ। তাঁদের আশা এবার নির্বাচন নির্বিঘ্নেই নেই হবে। আর তাতেই পাঁচ বছর পর আবার পঞ্চায়েত সদস্য পাবে গোটা গ্রাম।
অনন্যা দে