কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান, "চা বলয়ে ডেঙ্গি যাতে বড় আকার ধারণ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গি যাতে থাবা না বসাতে পারে সেজন্য চা বলয়ে জনগণের রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করা হচ্ছে। ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এলেই শুরু হবে চিকিৎসা।" মাঝে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও ফের কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। কালচিনি ব্লকের ডিমা চা বাগানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত তিন জন। আক্রান্তদের খোঁজ নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। আধিকারিকরা এলকায় ঘুরে ঘুরে কোথাও জল জমে আছে কী না তা খতিয়ে দেখেন। যেখানে জল জমে থাকে সেই জায়গা দ্রুত পরিষ্কারের নির্দেশ দেন এবং গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের মাধ্যমে সেখানে কীটনাশকও ছেটানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে ঝোরার জলে ডুবে মৃত্যু এক যুবকের
এছাড়াও এদিন আক্রান্তদের পাশাপাশি এলকাবাসীদেরও মশারি প্রদান করা হয়। কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, 'কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি যাতে থাবা না বসাতে পারে, তার জন্য সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করছি আমরা। আক্রান্তদের সাথে দেখা করতে এসেছি, বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছেন। এর পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতনও করা হয়েছে।' পুজোর সময় কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শূণ্য। কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এমন কথা জানিয়েছিলেন। খুশির হাসি দেখা গিয়েছিল স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে। কিন্তু ফের চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। যার ফলে চিন্তায় ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুনঃ নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আদিবাসী নৃত্যের প্রশিক্ষণ আলিপুরদুয়ারে
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সেপ্টেম্বরে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করেছিল কালচিনি ব্লকে। প্রায় কুড়ি জনের ওপরে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছিল কালচিনি ব্লকে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে তা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে গাড়োপাড়া এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মেলে বেশি। ডেঙ্গি মোকাবেলায় পুজো মণ্ডপগুলির সামনেও রাখা হয়েছিল পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা। এমনকি বিডিও বৈঠক করে সমস্ত গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছিলেন। জায়গায় জায়গায় ডেঙ্গি মোকাবেলায় অভিযান চালিয়েছিলেন তারা।
Annanya Dey