বন দফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে কোনও এক গাড়ির ধাক্কায় একটি পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। বন দফতরের অনুমান লেপার্ডটি সড়ক পারাপার করছিল। জাতীয় সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলে এমনিতেও। সেই সময়ে লেপার্ডটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলে বনদফতরের দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌছে লেপার্ডের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বন দফতর সুত্রে খবর, শুক্রবার ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপরেই গাড়িটির খোঁজ শুরু হবে। পাশাপাশি মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচতে রেল ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ! নদিয়ায় মারাত্মক কাণ্ড
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে একটি পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডের মৃতদেহ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ার জেলার তাসাটি চা বাগানে। এশিয়ান হাইওয়ে লাগোয়া তাসাটি চাবাগানের মধ্যে ওই পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ডটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে জ্যান্ত লেপার্ড শুয়ে আছে বলে মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চা বাগানের বাসিন্দারা। পরে দীর্ঘক্ষণ লেপার্ডটিকে একইভাবে পড়ে থাকতে দেখে বন দফতরে খবর দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: MRP-র চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রিতে কড়া নির্দেশিকা, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করল প্রশাসন
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পৌঁছয় পুলিশও। বনকর্মীরা এসে লেপার্ডের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের পর বন দফতরের কর্তারা জানান, দুর্ঘটনাতেই লেপার্ডটির মৃত্যু হয়েছে। একইভাবে ২০২১সালে দ্রুত গতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি লেপার্ড-ক্যাটের । আনুমানিক সন্ধ্যে নাগাদ আলিপুরদুয়ার থেকে রাজাভাতখাওয়ার পথে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের মাঝে মৃত এই প্রানীর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
রাজাভাতখাওয়া থেকে আলিপুরদুয়ারের দিকে আসতে গিয়ে এই দৃশ্য প্রথমে চোখে পড়ে বাইক আরোহী ও নিত্য যাত্রীদের। চিতার মতো ডোরাকাটা দাগের দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা চিতাশাবক ভেবেই ঘাবড়ে যান তাঁরা।
আশেপাশে শাবকের মা থাকতে পারে ভেবে তাঁরা সেখান থেকে দ্রুত সরে গিয়ে খবর দেন বক্সার ওয়েষ্ট দমনপুর রেঞ্জ অফিসে। জানা গিয়েছে, নিহত লেপার্ড ক্যাটের শরীরের বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে মরদেহের পাশে তাজা রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন নিত্য যাত্রীরা। নিত্য যাত্রীদের ধারনা, রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির কোনও গাড়ির ধাক্কায় প্রাণীটির মৃত্যু হয়। যদিও গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়নি বলেই ধারনা তাঁদের।
অনন্যা দে