প্রজেক্টর-এর মাধ্যমে সকলকে বোঝানো হয় বন্যপ্রাণীদের স্বভাব, তাদের অবস্থান ও গতিবিধি। হাতি, লেপার্ড চা বাগানে ঢুকে গেলে কিভাবে তাদের মুখোমুখি হতে হবে তা বোঝানো হয়। প্রতিটি চা বাগানে দশ জনের দল নিয়ে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করা হয়। যারা বন্যপ্রাণী বেরোনোর ঘটনা শুনলে সেই স্থানে যাবেন। বনকর্মীরা পৌঁছনো পর্যন্ত আক্রমণ আটকাবেন। এছাড়াও প্রতিটি চা বাগানের প্রতিনিধি দলের হাতে টর্চ লাইট তুলে দেওয়া হয়। ডিএফও দীপক এম জানান, "হাতিদের করিডর চা বাগানের মাঝ দিয়ে হয়। সেক্ষেত্রে চা বাগানের পক্ষ থেকে সহায়তা মেলে।তবে কিছু কৌশল তাদের এদিন শিখিয়ে দেওয়া হল বন্যপ্রাণ মোকাবেলা করার জন্য।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ এসেছেন নতুন মালিক, তাতেও শ্রমিক আন্দোলন শুরু রায়মাটাং চা বাগানে!
পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে বনদফতরের কাছে বন্যপ্রাণ হানার ঘটনায় মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরির দাবি তোলা হয়। কারণ বিগত পাঁচ বছরে গ্যারগেন্ডা চা বাগানে লেপার্ডের হানায় মৃতের পরিবারকে দেওয়া হয়নি চাকরি। এরকম চাকরি পায়নি জেলায় ছয়শো জন রয়েছে বলে জানা যায়। তাদের চাকরির দাবি তোলা হয়।
আরও পড়ুনঃ সমাজসেবক লক্ষ্মীকান্ত রায়ের বঙ্গগৌরব সম্মানে খুশি ফালাকাটার বাসিন্দারা
এর আগে কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া এন আই সি তে বনদফতরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় এদিনের কর্মশালায় ২০ টি চা বাগানের ২০০ জন অংশগ্রহণ করে এছাড়া চা বাগান কতৃপক্ষের থেকে ও একজন করে প্রতিটি চা বাগান থেকে অংশগ্রহণ করে । এদিনের কর্মশালায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডাইরেক্টর, ডেপুটি ফিল্ড ডাইরেক্টর উপস্থিত ছিলেন। চা বাগানে বুনো হাতি সহ বন্যপ্রাণী আক্রমণ করলে কি করণীয় এই বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা হয়।
Annanya Dey