আগে থেকেই থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ (পূর্ব) ও নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথভাবে ৩১ নং জাতীয় সড়কে অভিযান চালায়। এই সময়ই তাঁরা সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেন। তল্লাশি চালাতেই তার থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাঙ্গোলিন। পরে প্যাঙ্গোলিন পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বন দফতর জানিয়েছে, ধৃত জেমস বরগাঁও এর বয়স ৫৩ বছর। সে খোয়ারডাঙা এলাকার বাসিন্দা।উদ্ধার হওয়া প্যাঙ্গোলিনটিকে ওই ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে অসমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছেন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরে শেষ মুহূর্তে ভিলেন ঘন কুয়াশা! ৮ ঘণ্টার উপর বন্ধ ভেসেল চলাচল
ঘটনা হল চোরা বাজারে প্যাঙ্গোলিনের চামড়ার বিশাল দাম। প্রতি বছর বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, চিন, থাইল্যান্ড ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ টন প্যাঙ্গোলিন বেআইনিভাবে পাচার হয়। চিন, জাপান, কোরিয়ার মত দেশগুলির অধিবাসীদের একাংশের অন্ধ বিশ্বাসের জেরে এশিয়ায় প্যাঙ্গোলিন বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। এদের দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে তথাকথিত আয়ুর্বেদ ঔষধ তৈরির নামে বিশ্বজুড়ে অবৈধ ব্যবসা চলে। আর তার জন্যই চোরা বাজারে প্যাঙ্গোলিনের বিপুল চাহিদা। যদিও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া, নখ থেকে তৈরি হওয়া আয়ুর্বেদিক ওষুধের কোনও গুনাগুন নেই। এ সবই মানুষের অন্ধ বিশ্বাস।
অনন্যা দে