এই হাতির দল শ্রমিক মহল্লায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। যার কারণে আতঙ্কে থাকেন শ্রমিকরা। তবে এদিন সকালে শ্রমিকরা মৃতদেহ দেখে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা মনে মনে ভেবেই নেন হাতির দলটি সামনাসামনি রয়েছে। এই আতঙ্ক থেকেই তারা ম্যানেজারকে প্রথম খবর দেন। এদিকে হস্তীশাবকের মৃতদেহ দেখতে বাগানের শ্রমিক পরিবারের সকলে ভীড় জমান। বনকর্মীদের ভীড় সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রথমে। প্রচুর সংখ্যক বনকর্মী মিলে হাতিটিকে নালার থেকে তুলতে সক্ষম হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার হল আহত ধনেশ পাখি! জানুন এই বিলুপ্তপ্রায় পাখির কথা...
বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান হস্তিশাবকটি দলের সঙ্গে ছিল। চা বাগানের নালা পেরতে গিয়েই সেটি পড়ে যায়।হয়ত হাতির দলটি শাবকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল।কিন্তু তারা অসফল হয়। নালায় পড়ে তার মৃত্যু হয়। হস্তিশাবকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আলিপুরদুয়ার জেলায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ফের বাড়তে শুরু করায় উদ্বিগ্ন বনদফতর।
আরও পড়ুনঃ বর্ধিত মজুরির বকেয়া টাকা মিলছে না অধিকাংশ চা বাগানে! ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা
এদিকে পশু ও পরিবেশপ্রেমীদের তরফে বনদফতরকেই এই বিষয়ে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। কোথাও একটি গলদ থেকে যাওয়ার জন্য প্রাণ যাচ্ছে হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণের। বনকর্মীদের টহলদারী বাড়ানোর আবেদন তারা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ভাটপাড়া এলাকা থেকে একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা যায়,এর আগেও ভার্নোবাড়ি চা বাগানে সেচের জলের ট্যাঙ্কে পড়ে যায় একটি হস্তীশাবক। সে সময় শাবকটির মা ও বনদফতরের কর্মীদের প্রচেষ্টায় প্রাণে রক্ষা পায় হাতিটি। ভার্নোবাড়ি চা বাগানটি হাতির করিডোরে পরিণত হয়েছে।এই এলাকাতেও বনকর্মীদের টহলদারী চালানোর দাবী উঠেছে।
Annanya Dey