Alipurduar: উদ্ধার হল আহত ধনেশ পাখি! জানুন এই বিলুপ্তপ্রায় পাখির কথা...
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
আহত এক ধনেশ পাখিকে উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানের বাসিন্দারা।
#আলিপুরদুয়ার : আহত এক ধনেশ পাখিকে উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে মেচপাড়ার ৮ নম্বর লাইন এলাকায় একটি ধনেশ পাখি হঠাৎই গাছ থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর এলাকার বাসিন্দারা পাখিটিকে উদ্ধার করে বনদফতরকে খবর দেন। এরপর পাখিটিকে নজরে রেখেছিল বাসিন্দারা। বনদফতর এসে পাখিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাখিটির ডানায় আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। বনদফতরের তরফে পাখিটির চিকিৎসা করা হচ্ছে। ধনেশ পক্ষীজগতে একমাত্র পাখি যার মেরুদণ্ডের অ্যাটলাস ও প্রথম দুইটি কশেরুকা একত্রে সংযুক্ত থাকে। সম্ভবত বিশাল ঠোঁটের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা।
advertisement
বেশ কিছু সংখ্যক ধনেশ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে রয়েছে, এদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই দ্বীপবাসী প্রজাতি। ধনেশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে এর লম্বা, নিম্নমূখী বাঁকানো ঠোঁট। এ ঠোঁট স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নাম - উভয় পর্যায়েই বিউসেরাস ব্যবহার করা হয় যা গ্রীক ভাষা থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে গরুর শিং।ধনেশের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে তার শক্তিশালী ও ভারী ঠোঁট যা ঘাড়ের মাংসপেশীর সহায়তাসহ মেরুদণ্ডের সাথে সম্পর্কিত।
advertisement
এ ঠোঁট দিয়ে বিপদ মোকাবেলা করা, আহারের সংস্থান, বাসা তৈরীসহ শিকার কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। ডুয়ার্স এলাকায় পাতাঠুঁটি ধনেশ পাখি বেশি দেখা যায়। ধনেশ বিশাল ঠোঁটবিশিষ্ট বড় আকারের বৃক্ষচর পখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৮০ সেন্টিমিটার, ডানা ৪৮ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ১৯.৫ সেন্টিমিটার, লেজ ১৪ সেন্টিমিটার ও পা ৬.৫ সেন্টিমিটার। পুরুষ জাতীয় পাতাঠুঁটি ধনেশের ওজন ১.৮ কেজি থেকে ৩.৬৫ কেজি হয়। অন্যদিকে, স্ত্রীজাতীয় পাতাঠুঁটি ধনেশের ওজন ১.৩৬ কেজি থেকে ২.৭ কেজি হয়ে থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ ধনেশের চেহারায় কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি ও ঘাড় লালচে। মাথার পাশ সাদাটে। ঘাড়ের উপরিভাগ পীতাভ-সাদা। ঠোঁট উজ্জ্বল হলুদ রঙের।
advertisement
ঠোঁটের নিচে উজ্জ্বল হলুদ রঙের থলে থাকে এবং থলেতে আড়াআড়ি কালো ডোরা দেখা যায়। সাদা লেজ ছাড়া দেহের বাকি অংশ চকচকে কালো। চোখ রক্তলাল ও চোখের পাশের চামড়া ইটের মত লাল। ঠোঁটের গোড়া অনুজ্জ্বল গোলাপি ও কালচে-লাল ঢেউ খেলানো। স্ত্রী ধনেশের ঘাড় ও মাথা কালো। ঠোঁটের নিচের থলের রঙ নীল বা সবুজাভ। চোখ বাদামি বা ধূসর-বাদামি। ঠোঁট লালচে-হলুদ। স্ত্রী ও পুরুষ ধনেশ উভয়ের পা ও পায়ের পাতা সবুজাভ বা কালচে-স্লেট রঙের।
advertisement
এর আগে কোচবিহার বিমানবন্দর সংলগ্ন বড়ো বড়ো গাছগুলিতে শামুকখোলের পাশাপাশি এই কাও ধনেশের বাসা ছিল। ২০১০ সালে কোচবিহার বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় গাছগুলো কেটে ফেলার পর সেখান থেকে বিভিন্ন পাখি চলে এসেছে মানসাই নদীর দু’পারের বিভিন্ন গাছপালায়। তেকোনিয়া বনাঞ্চলে ,নিশিগঞ্জ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু বনাঞ্চলেও নতুন করে পাখির আনাগোনা বাড়ছে। আলিপুরদুয়ার জেলার রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলে ধনেশ পাখির সংখ্যা বেশি বলে জানা যায়।
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
August 19, 2022 7:06 PM IST